ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইয়ামালকে ১০ গুণ বেশি বেতন দিতে চলেছে বার্সা: তরুণ তারকার জন্য বিশাল বিনিয়োগ ময়মনসিংহে বাণিজ্যিক আঙ্গুর চাষে সুমনের অভাবনীয় সাফল্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বাড়বে তাপমাত্রা, ঢাকা থাকছে মেঘাচ্ছন্ন টিকিট জোগাড়ে প্রস্তুতি: ২ জুনের ট্রেন টিকিট আজ বিক্রি শুরু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক: ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান মাইক্রোসফটে অভ্যন্তরীণ ইমেইলে “ফিলিস্তিন” শব্দ নিষিদ্ধ মার্কিন-বিরোধী উস্কানির অভিযোগ: হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করল ট্রাম্প সরকারি দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের মজুরি বাড়লো: কার্যকর ১ জুলাই থেকে ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা

কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভান্তির চরে এ বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ। সবুজের মাঝে মিষ্টিকুমড়া বিকশিত হচ্ছে, যা পুরো চরের কৃষিজমি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ফলন কৃষকদের মনে নতুন আশা এনে দিয়েছে।

মিষ্টিকুমড়া চাষে সফলতার পেছনে রয়েছে গত বছর আগস্টে হওয়া ভয়াবহ বন্যার পরের পরিস্থিতি। বন্যার স্রোতে গোমতী নদীর চরের কৃষিজমিতে প্রচুর পলি জমেছিল, যা এ বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন নিশ্চিত করেছে। নভেম্বরের শুরুতে জমিতে আলু ও মিষ্টিকুমড়ার চারা রোপণ করা হয়েছিল। বর্তমানে জমিগুলোতে শুধুমাত্র মিষ্টিকুমড়া রয়েছে এবং কৃষকরা এখন এসব তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন।

এ বছর গোমতীর চরে শুধু মিষ্টিকুমড়া নয়, আলুরও ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা গোমতীর বেড়িবাঁধ সড়কে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করছেন। প্রতিটি খেত থেকে ৪০-৬০ টাকায় মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা চরে এসে এসব মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভান্তির গ্রামের কৃষক মো. মানিক জানান, গত বছর বন্যার পর জমির পলি ও দূষণের কারণে এ বছর ফসলের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি ২৬ শতাংশ জমিতে আলু ও মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন এবং ইতিমধ্যে আলু বিক্রি করে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। এখন মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকার আশা করছেন।

মিষ্টিকুমড়ার চাষে সফলতা পেয়েছে বেশ কিছু হাইব্রিড জাত, যেমন মোহনা, পিরিতি সুপার, অনিক-১ ও ওয়ান্ডার বল। কৃষকদের মতে, মাটি ও আবহাওয়া এই ফলনের জন্য সহায়ক হয়েছে। বালীখাড়ার কৃষক মামুন মিয়া বলেন, ‘এই বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে, আশা করছি দাম আরও বাড়বে।’

কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘বন্যার পর জমির পলি জমার কারণে মিষ্টিকুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

এ বছর গোমতী চরের কৃষকরা মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৩:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভান্তির চরে এ বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ। সবুজের মাঝে মিষ্টিকুমড়া বিকশিত হচ্ছে, যা পুরো চরের কৃষিজমি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ফলন কৃষকদের মনে নতুন আশা এনে দিয়েছে।

মিষ্টিকুমড়া চাষে সফলতার পেছনে রয়েছে গত বছর আগস্টে হওয়া ভয়াবহ বন্যার পরের পরিস্থিতি। বন্যার স্রোতে গোমতী নদীর চরের কৃষিজমিতে প্রচুর পলি জমেছিল, যা এ বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন নিশ্চিত করেছে। নভেম্বরের শুরুতে জমিতে আলু ও মিষ্টিকুমড়ার চারা রোপণ করা হয়েছিল। বর্তমানে জমিগুলোতে শুধুমাত্র মিষ্টিকুমড়া রয়েছে এবং কৃষকরা এখন এসব তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন।

এ বছর গোমতীর চরে শুধু মিষ্টিকুমড়া নয়, আলুরও ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা গোমতীর বেড়িবাঁধ সড়কে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করছেন। প্রতিটি খেত থেকে ৪০-৬০ টাকায় মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা চরে এসে এসব মিষ্টিকুমড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভান্তির গ্রামের কৃষক মো. মানিক জানান, গত বছর বন্যার পর জমির পলি ও দূষণের কারণে এ বছর ফসলের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি ২৬ শতাংশ জমিতে আলু ও মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন এবং ইতিমধ্যে আলু বিক্রি করে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। এখন মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকার আশা করছেন।

মিষ্টিকুমড়ার চাষে সফলতা পেয়েছে বেশ কিছু হাইব্রিড জাত, যেমন মোহনা, পিরিতি সুপার, অনিক-১ ও ওয়ান্ডার বল। কৃষকদের মতে, মাটি ও আবহাওয়া এই ফলনের জন্য সহায়ক হয়েছে। বালীখাড়ার কৃষক মামুন মিয়া বলেন, ‘এই বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে, আশা করছি দাম আরও বাড়বে।’

কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘বন্যার পর জমির পলি জমার কারণে মিষ্টিকুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

এ বছর গোমতী চরের কৃষকরা মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়েছেন।