সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা দুই ভাইয়ের বিরোধে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর
- আপডেট সময় ১০:০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / 42
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বালু মহাল ও স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি নেতা দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন এবং কয়েকটি ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বালু মহাল, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজ, রাস্তা সংস্কার এবং জুট ব্যবসার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় “বাঘ বাটোয়ারা” নামে পরিচিত স্থানে ও একটি স্থানীয় কোম্পানির কাজের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর দুই পক্ষের সমর্থকরা ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, সংঘর্ষের সময় অন্তত চারটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে গেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়।
সোনারগাঁ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রথমে একটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। কিছু সময় পর আরেকটি বাড়িতেও আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে দুই ইউনিটের এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সংঘর্ষে আহত চারজনের মধ্যে একজন রানা মিয়া নামের ব্যক্তি বলেন, “যে চারটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আমাদের পক্ষের লোকদের।”
এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। জলিলপন্থিদের অভিযোগ, রউফপন্থিরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে রউফপন্থিদের দাবি, জলিলপন্থিরা স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সোনারগাঁ থানার এসআই সারোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দুই গ্রুপের সমর্থকরা একে অপরের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা হয়।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনায় জড়িত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ ও আব্দুল জলিলকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কা রোধে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”



















