বাজেটে কালো টাকায় বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধের আহ্বান সিপিডির

- আপডেট সময় ০২:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / 8
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রেখে সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। তারা এ সুযোগ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। কিন্তু বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে সেই চেতনার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে নিয়মিত করদাতাদের নৈতিকতাতে আঘাত করা হয়েছে, এবং বৈধ আয়ের উৎস থেকে আয় করা নাগরিকদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হবে বলে মনে হয় না। বরং এটি অর্থনৈতিক ন্যায্যতার প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮.৯ শতাংশ বাড়ানো হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে। সাধারণ জনগণ ও শিল্প উদ্যোক্তারা এর সরাসরি সুফল ভোগ করবে।”
ব্যাংকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জমায় আবগারি শুল্ক না রাখার প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে।”
তামাকপণ্যে ২.৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপকে সঠিক পদক্ষেপ উল্লেখ করে ফাহমিদা বলেন, “এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো দিক। পাশাপাশি, পরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে কর কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করায় সাধারণ ভোক্তার উপর চাপ কিছুটা কমবে।”
কৃষিখাত থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রাখার প্রস্তাবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এটি কৃষকদের জন্য আশার খবর।” এছাড়া, জুলাই যোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাবকেও তিনি স্বাগত জানান।
সিপিডির মতে, বাজেট বাস্তবায়নে নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখতে হলে কর নীতিতে শৃঙ্খলা আনতে হবে এবং কালো টাকা সাদা করার মতো বৈষম্যমূলক সুযোগ অবসান ঘটাতে হবে।