ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা, একদিনে নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি বিচার বিভাগের সংস্কারে সহযোগিতা করছে গণমাধ্যম: প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নতুন নোটের ছবি হস্তান্তর করলেন গভর্নর শান্তি আলোচনার মাঝেও তীব্র ড্রোন হামলায় উত্তপ্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ইসির জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নজিরবিহীন লুটপাটে ক্ষতবিক্ষত ব্যাংকিং খাত: অর্থ উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয়টি নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করল ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ওষুধের দাম কমছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে ঘোষণা দিলেন হেনরি ক্লাসেন নাইজেরিয়ায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্দুকধারীদের পৃথক হামলায় নিহত ২৫

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, পালালো ডাকাত দল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

সুন্দরবনের গহীনে ডাকাত দলের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুন্দরবনের পুরাতন ঝাপসি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান শেষে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান।

তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছে। খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ টিম দুপুর দুইটার দিকে অভিযানে নামে।

অভিযান টের পেয়ে ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত নৌকা ফেলে গভীর বনে পালিয়ে যায়। পরে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার টহলের ফলে এসব এলাকায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জলদস্যু ও বন ডাকাতদের উপস্থিতি কমলেও, তারা এখনও মাঝে মাঝে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তাই কোস্টগার্ডের নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, সুন্দরবন ঘিরে গড়ে ওঠা ডাকাত চক্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে বনজ সম্পদ লুট, জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এসব চক্র অনেকটাই কোণঠাসা হলেও এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

কোস্টগার্ডের এই অভিযান সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, পালালো ডাকাত দল

আপডেট সময় ০১:৪১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

সুন্দরবনের গহীনে ডাকাত দলের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুন্দরবনের পুরাতন ঝাপসি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান শেষে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান।

তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছে। খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ টিম দুপুর দুইটার দিকে অভিযানে নামে।

অভিযান টের পেয়ে ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত নৌকা ফেলে গভীর বনে পালিয়ে যায়। পরে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার টহলের ফলে এসব এলাকায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জলদস্যু ও বন ডাকাতদের উপস্থিতি কমলেও, তারা এখনও মাঝে মাঝে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তাই কোস্টগার্ডের নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, সুন্দরবন ঘিরে গড়ে ওঠা ডাকাত চক্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে বনজ সম্পদ লুট, জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এসব চক্র অনেকটাই কোণঠাসা হলেও এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

কোস্টগার্ডের এই অভিযান সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।