ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জেনেভায় মানবাধিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন: বাংলাদেশের ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত গাজায় নতুন সংকটের আশঙ্কা: পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে ইউক্রেন ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে জেদ্দায় যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষকদের জন্য বড় ঘোষণা, বাড়ছে ভাতা: বিদায়ী উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য জাতিসংঘে বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৩ কোটি টাকার প্রকল্পে গায়েব নথি ও দুর্নীতির খোঁজ ওয়ানডে থেকে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথের অবসরের ঘোষণা, খেলা চালিয়ে যাবেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে অবৈধ ও অননুমোদিত নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনারও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তারা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, বাল্কহেডের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে এবং যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে বহু প্রাণহানি ঘটছে। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসনের নজরের সামনেই রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হলেও বাস্তবে বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৭০ হাজারই অনিবন্ধিত, যার মধ্যে প্রায় ছয় হাজার বাল্কহেড। নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বছরে মাত্র আট হাজারের ফিটনেস পরীক্ষা হয়, বাকি সাত হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান অবাধে চলাচল করছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব হচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সংগঠন দুটি স্পষ্টভাবে বলেছে, সনদবিহীন চালক ও অবৈধভাবে নৌযান পরিচালনার সুযোগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি

আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে অবৈধ ও অননুমোদিত নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনারও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তারা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, বাল্কহেডের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে এবং যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে বহু প্রাণহানি ঘটছে। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসনের নজরের সামনেই রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হলেও বাস্তবে বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৭০ হাজারই অনিবন্ধিত, যার মধ্যে প্রায় ছয় হাজার বাল্কহেড। নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বছরে মাত্র আট হাজারের ফিটনেস পরীক্ষা হয়, বাকি সাত হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান অবাধে চলাচল করছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব হচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সংগঠন দুটি স্পষ্টভাবে বলেছে, সনদবিহীন চালক ও অবৈধভাবে নৌযান পরিচালনার সুযোগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।