ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা আবহাওয়ার সতর্কতা: ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা রেলপথ গুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চায় সরকার আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করতেই চার্জশীট দিতে দেরী হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশজুড়ে

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি, শিক্ষকদের আন্দোলন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 121

ছবি সংগৃহীত

 

দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে সকল বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি অনুদান ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকায় চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবির মূল বিষয়গুলো হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা অব্যাহত রাখতে অবিলম্বে বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি এমপিওভুক্তি, পর্যাপ্ত অনুদানের নিশ্চয়তা, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা এবং শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বিশেষ বিদ্যালয়গুলো সরকারি স্বীকৃতি ও অর্থায়ন না পাওয়ায় টিকে থাকার সংকটে পড়েছে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নেই, অবকাঠামো উন্নয়ন নেই, ফলে এই বিদ্যালয়গুলো ধ্বংসের পথে।” তারা আরও জানান, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে এবং অনেক শিক্ষক এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হবেন।

শিক্ষকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না। দেশের সব বিশেষ বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি ও সরকারি অনুদান নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করা সম্ভব। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বিশেষ বিদ্যালয়গুলোর টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশজুড়ে

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি, শিক্ষকদের আন্দোলন

আপডেট সময় ০৩:২৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে সকল বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি অনুদান ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকায় চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবির মূল বিষয়গুলো হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা অব্যাহত রাখতে অবিলম্বে বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি এমপিওভুক্তি, পর্যাপ্ত অনুদানের নিশ্চয়তা, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা এবং শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বিশেষ বিদ্যালয়গুলো সরকারি স্বীকৃতি ও অর্থায়ন না পাওয়ায় টিকে থাকার সংকটে পড়েছে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নেই, অবকাঠামো উন্নয়ন নেই, ফলে এই বিদ্যালয়গুলো ধ্বংসের পথে।” তারা আরও জানান, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে এবং অনেক শিক্ষক এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হবেন।

শিক্ষকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না। দেশের সব বিশেষ বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি ও সরকারি অনুদান নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করা সম্ভব। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বিশেষ বিদ্যালয়গুলোর টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।