০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

মার্কিন দূতাবাস ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 146

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গুলশানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি এড়াতে দূতাবাস এলাকা ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ফিলিস্তিনে চলমান দমনপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে একযোগে প্রতিবাদ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল তরুণ গুলশান-২ এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হন। মিছিল নিয়ে তারা দূতাবাসের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন, এতে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মিছিলের সামনে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য এবং কৌশলগতভাবে মোতায়েনকৃত নিরাপত্তা টিম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ জানান, “মার্কিন দূতাবাস ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্কতামূলকভাবে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।”

মিছিলকারীরা ‘গাজা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো’, ‘ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াও’ ইত্যাদি স্লোগানে রাজপথ মুখর করে তোলেন। তবে কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি তরুণ সমাজের এই প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে বিশ্বজনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, মার্কিন দূতাবাস থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন দূতাবাস ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৫:৪১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গুলশানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি এড়াতে দূতাবাস এলাকা ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ফিলিস্তিনে চলমান দমনপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে একযোগে প্রতিবাদ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল তরুণ গুলশান-২ এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হন। মিছিল নিয়ে তারা দূতাবাসের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন, এতে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মিছিলের সামনে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য এবং কৌশলগতভাবে মোতায়েনকৃত নিরাপত্তা টিম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ জানান, “মার্কিন দূতাবাস ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্কতামূলকভাবে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।”

মিছিলকারীরা ‘গাজা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো’, ‘ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াও’ ইত্যাদি স্লোগানে রাজপথ মুখর করে তোলেন। তবে কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি তরুণ সমাজের এই প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে বিশ্বজনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, মার্কিন দূতাবাস থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।