ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 27

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকার সাত সরকারি কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ), যা চলবে হাইব্রিড মডেলে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ সশরীরে।

এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না, বরং অনুষদভিত্তিক পাঠদান ব্যবস্থা চালু হবে। যেমন, সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ক্লাস হতে পারে, সরকারি বাঙলা কলেজে মানবিক অনুষদের বিষয়গুলোর ক্লাস হতে পারে।

ঢাকার সাত সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। ২০১৭ সালে এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কিন্তু সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব আসে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম “জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়” প্রস্তাব করা হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামটি নির্ধারিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় চালু না হওয়া পর্যন্ত একটি সমন্বিত কাঠামোর অধীনে সাত কলেজ পরিচালিত হবে। এতে ইউজিসির তত্ত্বাবধানে কলেজগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে, এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন ভর্তি কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না।

সাত কলেজের মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ বাদে বাকিগুলোতে এখনো উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। পাশাপাশি, এসব কলেজের শিক্ষকরা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় প্রশাসনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে

আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার সাত সরকারি কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ), যা চলবে হাইব্রিড মডেলে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ সশরীরে।

এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না, বরং অনুষদভিত্তিক পাঠদান ব্যবস্থা চালু হবে। যেমন, সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ক্লাস হতে পারে, সরকারি বাঙলা কলেজে মানবিক অনুষদের বিষয়গুলোর ক্লাস হতে পারে।

ঢাকার সাত সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। ২০১৭ সালে এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কিন্তু সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব আসে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম “জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়” প্রস্তাব করা হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামটি নির্ধারিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় চালু না হওয়া পর্যন্ত একটি সমন্বিত কাঠামোর অধীনে সাত কলেজ পরিচালিত হবে। এতে ইউজিসির তত্ত্বাবধানে কলেজগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে, এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন ভর্তি কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না।

সাত কলেজের মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ বাদে বাকিগুলোতে এখনো উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। পাশাপাশি, এসব কলেজের শিক্ষকরা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় প্রশাসনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।