১০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে, কোনো চাপে নয় : মৎস্য উপদেষ্টা স্থায়ীভাবে পরমাণু রাষ্ট্র ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার আহ্বান বিজিবির তুরস্ক নিজস্ব পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানালো আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক ৪ দালালের কারাদণ্ড বাগেরহাটে চার আসন রক্ষার দাবিতে তিন দিনের হরতাল শুরু ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত ৫৩, খাদ্য সংকটে নিঃশেষ হচ্ছে প্রাণ আজ থেকে পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় শুরু ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ ভাঙ্গার অবরোধ তুলে নিতে সময় বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা

বুয়েট শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ: আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পলায়নে তীব্র প্রতিবাদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পলায়নের ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে বুয়েট ক্যাম্পাস। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা পলাশী মোড় ও ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে পরিণত হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দেন‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’সহ নানা প্রতিবাদী বক্তব্য।

পরে মধ্যরাতে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল শুনানির শেষাংশে বিচারপতি জানান, মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। এর ফলে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়ছেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি শহীদ আবরার ফাহাদের প্রতি চরম প্রতারণা ও দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “ফাঁসির আসামিদের রাখা হয় কঠোর নিরাপত্তার কনডেম সেলে। তাহলে কিভাবে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালাতে পারে? এটি ন্যক্কারজনক এবং শহীদ আবরারের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

তারা আরও জানান, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসিরসহ ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দায় এড়াতে পারে না। দ্রুত পলাতক মুনতাসিরকে গ্রেপ্তার ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।” সংবাদ সম্মেলনে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, “আমার ভাইয়ের খুনির পলায়নের দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। এটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক। আমরা টালবাহানা নয়, দ্রুত গ্রেপ্তার চাই।”

শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা

বুয়েট শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ: আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পলায়নে তীব্র প্রতিবাদ

আপডেট সময় ১০:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পলায়নের ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে বুয়েট ক্যাম্পাস। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা পলাশী মোড় ও ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে পরিণত হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দেন‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’সহ নানা প্রতিবাদী বক্তব্য।

পরে মধ্যরাতে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল শুনানির শেষাংশে বিচারপতি জানান, মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। এর ফলে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়ছেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি শহীদ আবরার ফাহাদের প্রতি চরম প্রতারণা ও দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “ফাঁসির আসামিদের রাখা হয় কঠোর নিরাপত্তার কনডেম সেলে। তাহলে কিভাবে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালাতে পারে? এটি ন্যক্কারজনক এবং শহীদ আবরারের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

তারা আরও জানান, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসিরসহ ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দায় এড়াতে পারে না। দ্রুত পলাতক মুনতাসিরকে গ্রেপ্তার ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।” সংবাদ সম্মেলনে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, “আমার ভাইয়ের খুনির পলায়নের দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। এটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক। আমরা টালবাহানা নয়, দ্রুত গ্রেপ্তার চাই।”

শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।