জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় ০৬:১৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / 91
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমির পূর্ণাঙ্গ দাপ্তরিক হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় অবস্থিত অবশিষ্ট ১১ দশমিক ৪০ একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের পথ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে একনেক সভায় কেরানীগঞ্জে ২০০ একরের একটি পূর্ণাঙ্গ নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। পরে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৮৮ দশমিক ৬০ একর জমি হস্তান্তর করা হয়। আজকের হস্তান্তরের মাধ্যমে বাকি জমির মালিকানাও পেল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
জমিগুলো কেরানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমদী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত এবং পূর্বে ঢাকা জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-০২ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হস্তান্তরের বিষয়টি জানানো হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আজকের জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দ্রুত টেন্ডার ও নির্মাণ কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সকল দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “এই জমিটুকু আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের বাস্তবায়নে বড় অগ্রগতি হলো। ইতোমধ্যে আরডিপিপিও অনুমোদন হয়েছে। আশা করি দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে ‘অর্পিত ক্রয় কার্য’ হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
আজকের জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 
																			 
																		 
										

























