০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

অকাল বন্যায় পদ্মার চরাঞ্চলে ডুবে গেছে বাদাম ও তিলের ফসল, সর্বস্বান্ত কৃষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 184

ছবি সংগৃহীত

 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর পানি আকস্মিকভাবে বাড়ায় গত এক সপ্তাহে চরাঞ্চলের প্রায় ৭০০ একর জমির বাদাম ও তিল ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চরের কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকল্যানপুর, দিয়ারা গোপালপুর ও ঝাউকান্দা চরে দেখা যায়, প্রায় ৫০০ একর জমির বাদাম ও তিল ফসল সম্পূর্ণরূপে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমির অধিকাংশ ফসল পাকার কাছাকাছি অবস্থায় ছিল। হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখার ডাঙ্গী ও চর শালেপুর মৌজার প্রায় ৫০ একর এবং গাজীরটেক ইউনিয়নের মাঝি ডাঙ্গী, বঙ্গেশ্বর ডাঙ্গী ও জয়দেব সরকার ডাঙ্গী গ্রামের আরও ৫০ একর জমির বাদাম ও তিল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। একইভাবে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের আ. গফুর মৃধা ডাঙ্গী, কামার ডাঙ্গী ও মাথাভাঙ্গা গ্রামের প্রায় ১০০ একর বাদাম ক্ষেত ডুবু ডুবু অবস্থায় রয়েছে।

চরের মাঠে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ একত্রে পানির নিচ থেকে বাদাম তুলছেন। তারা জানান, ব্যয়ের অর্ধেকও ফেরত আসবে না। অনেকে আবার ঋণ করে চাষ করেছিলেন, এখন সেই ঋণ পরিশোধ নিয়েই ভাবনায় পড়েছেন।

দিয়ারা গোপালপুর মৌজার কৃষক আবেদ আলী বলেন, “আমার ১৮ বিঘা জমির বাদাম ক্ষেত পানির নিচে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে হাঁটু পানিতে নেমে কিছু বাদাম তুলছি, কিন্তু এগুলোর বাজারে তেমন দাম নেই।”

চরকল্যানপুরের চাষি কবির খালাসি জানান, “প্রায় দেড় একর জমির বাদাম ক্ষেত পুরো ডুবে গেছে। এখন বাদাম তুললেও বেশিরভাগের ভেতরে দানা নেই। বাড়িতে নিতে খরচ হবে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। লোকসান অনিবার্য।”

চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, “অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির বাদাম ও তিল ফসল বিনষ্ট হয়েছে। কৃষকেরা কার্যত সর্বস্বান্ত। তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।”

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত মাঠগুলোর জরিপ ও পরিদর্শন চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

অকাল বন্যায় পদ্মার চরাঞ্চলে ডুবে গেছে বাদাম ও তিলের ফসল, সর্বস্বান্ত কৃষকরা

আপডেট সময় ১০:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর পানি আকস্মিকভাবে বাড়ায় গত এক সপ্তাহে চরাঞ্চলের প্রায় ৭০০ একর জমির বাদাম ও তিল ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চরের কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকল্যানপুর, দিয়ারা গোপালপুর ও ঝাউকান্দা চরে দেখা যায়, প্রায় ৫০০ একর জমির বাদাম ও তিল ফসল সম্পূর্ণরূপে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমির অধিকাংশ ফসল পাকার কাছাকাছি অবস্থায় ছিল। হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখার ডাঙ্গী ও চর শালেপুর মৌজার প্রায় ৫০ একর এবং গাজীরটেক ইউনিয়নের মাঝি ডাঙ্গী, বঙ্গেশ্বর ডাঙ্গী ও জয়দেব সরকার ডাঙ্গী গ্রামের আরও ৫০ একর জমির বাদাম ও তিল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। একইভাবে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের আ. গফুর মৃধা ডাঙ্গী, কামার ডাঙ্গী ও মাথাভাঙ্গা গ্রামের প্রায় ১০০ একর বাদাম ক্ষেত ডুবু ডুবু অবস্থায় রয়েছে।

চরের মাঠে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ একত্রে পানির নিচ থেকে বাদাম তুলছেন। তারা জানান, ব্যয়ের অর্ধেকও ফেরত আসবে না। অনেকে আবার ঋণ করে চাষ করেছিলেন, এখন সেই ঋণ পরিশোধ নিয়েই ভাবনায় পড়েছেন।

দিয়ারা গোপালপুর মৌজার কৃষক আবেদ আলী বলেন, “আমার ১৮ বিঘা জমির বাদাম ক্ষেত পানির নিচে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে হাঁটু পানিতে নেমে কিছু বাদাম তুলছি, কিন্তু এগুলোর বাজারে তেমন দাম নেই।”

চরকল্যানপুরের চাষি কবির খালাসি জানান, “প্রায় দেড় একর জমির বাদাম ক্ষেত পুরো ডুবে গেছে। এখন বাদাম তুললেও বেশিরভাগের ভেতরে দানা নেই। বাড়িতে নিতে খরচ হবে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। লোকসান অনিবার্য।”

চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, “অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির বাদাম ও তিল ফসল বিনষ্ট হয়েছে। কৃষকেরা কার্যত সর্বস্বান্ত। তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।”

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত মাঠগুলোর জরিপ ও পরিদর্শন চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”