ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগপত্র রবিবার দাখিল করবে প্রসিকিউশন তামাকের ক্ষতি গরুও বোঝে, মানুষ নয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জার্মানিতে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ২ বরিশালে জাতীয় পার্টির হামলায় গণ অধিকার পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী আহত রাজধানীতে বড় সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের ভারতে ফের করোনার আঘাত, মৃত ৭, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার মেঘনায় ভয়াবহ ট্রলারডুবি: ২৫ জন জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও ১৪ নির্বাচনকে ঘিরে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবারও ধস ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, চার দিনে আক্রান্ত ১৭শ’র বেশি

হিমালয়ের ভয়ংকর শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১ জয় করে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের বাবর আলী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

হিমালয়ের অন্যতম কঠিন ও ভয়ংকর শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১ এর চূড়ায় এবার উড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। এই অনন্য অর্জন সম্ভব করেছেন দেশের সাহসী পর্বতারোহী ও চিকিৎসক ডা. বাবর আলী। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তিনি ৮,০৯১ মিটার উচ্চতার শীর্ষে পৌঁছান। এভারেস্টজয়ী এই অভিযাত্রী এবারও নিজের সাহস, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন।

বাবরের এই অভিযানে সহযাত্রী ছিলেন অভিজ্ঞ শেরপা গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা। পুরো অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্যবস্থাপক ফরহান জামান এবং নেপালের ‘মাকালু অ্যাডভেঞ্চার’-এর স্বত্বাধিকারী মোহন লামসাল। তারাই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এই গৌরবগাথার খবর।

চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী এর আগে এক অভিযানে এভারেস্ট ও লোৎসে জয় করে বাংলাদেশের রেকর্ডবুকে নাম লেখান। অন্নপূর্ণা জয় করে তিনি আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।

অন্নপূর্ণা-১ বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলেও মৃত্যুহারে এটিই সবচেয়ে ভয়ংকর। এই শৃঙ্গ জয়ের জন্য বাবর আলী ২৪ মার্চ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং ২৮ মার্চ অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ক্যাম্প ১ ও ২-তে রাত কাটান।

আবহাওয়া অনুকূলে এলে ৩ এপ্রিল শুরু হয় চূড়ার পথে চূড়ান্ত যাত্রা। ৬ এপ্রিল রাতে ক্যাম্প ৩ (৬,৫০০ মিটার) থেকে শুরু হয় ‘সামিট পুশ’। প্রবল তুষারঝড় ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ভোরে তিনি পৌঁছান চূড়ায় যেখানে লাল-সবুজ পতাকার গর্বিত উড্ডয়ন।

ফরহান জামান বলেন, “এই অর্জন কেবল বাবরের নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের অধ্যায়। তার এই জয় ভবিষ্যতের অভিযাত্রীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

বর্তমানে বাবর আলী ক্যাম্প ২-এ অবস্থান করছেন এবং ৮ এপ্রিল বেসক্যাম্পে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই পর্বতারোহীর সাহসিকতা ও সংকল্প আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিল অসম্ভব বলে কিছু নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

হিমালয়ের ভয়ংকর শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১ জয় করে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের বাবর আলী

আপডেট সময় ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

হিমালয়ের অন্যতম কঠিন ও ভয়ংকর শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১ এর চূড়ায় এবার উড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। এই অনন্য অর্জন সম্ভব করেছেন দেশের সাহসী পর্বতারোহী ও চিকিৎসক ডা. বাবর আলী। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তিনি ৮,০৯১ মিটার উচ্চতার শীর্ষে পৌঁছান। এভারেস্টজয়ী এই অভিযাত্রী এবারও নিজের সাহস, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন।

বাবরের এই অভিযানে সহযাত্রী ছিলেন অভিজ্ঞ শেরপা গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা। পুরো অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্যবস্থাপক ফরহান জামান এবং নেপালের ‘মাকালু অ্যাডভেঞ্চার’-এর স্বত্বাধিকারী মোহন লামসাল। তারাই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এই গৌরবগাথার খবর।

চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী এর আগে এক অভিযানে এভারেস্ট ও লোৎসে জয় করে বাংলাদেশের রেকর্ডবুকে নাম লেখান। অন্নপূর্ণা জয় করে তিনি আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।

অন্নপূর্ণা-১ বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলেও মৃত্যুহারে এটিই সবচেয়ে ভয়ংকর। এই শৃঙ্গ জয়ের জন্য বাবর আলী ২৪ মার্চ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং ২৮ মার্চ অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ক্যাম্প ১ ও ২-তে রাত কাটান।

আবহাওয়া অনুকূলে এলে ৩ এপ্রিল শুরু হয় চূড়ার পথে চূড়ান্ত যাত্রা। ৬ এপ্রিল রাতে ক্যাম্প ৩ (৬,৫০০ মিটার) থেকে শুরু হয় ‘সামিট পুশ’। প্রবল তুষারঝড় ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ভোরে তিনি পৌঁছান চূড়ায় যেখানে লাল-সবুজ পতাকার গর্বিত উড্ডয়ন।

ফরহান জামান বলেন, “এই অর্জন কেবল বাবরের নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের অধ্যায়। তার এই জয় ভবিষ্যতের অভিযাত্রীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

বর্তমানে বাবর আলী ক্যাম্প ২-এ অবস্থান করছেন এবং ৮ এপ্রিল বেসক্যাম্পে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই পর্বতারোহীর সাহসিকতা ও সংকল্প আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিল অসম্ভব বলে কিছু নেই।