ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাওয়া যাচ্ছে না ফুলকপির ন্যায্য মূল্য

লোকসানে কৃষকের হতাশা: কমছে সবজি চাষের প্রবণতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। এক মাস আগেও ঢাকায় সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া, কিন্তু বর্তমানে ফুলকপি সহ অন্যান্য সবজির দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ঢাকার বাজারে যেখানে একটি বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, সেখানে কৃষকরা পাচ্ছেন মাত্র ৪ থেকে ৫ টাকা।

প্রান্তিক কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, কিন্তু বিক্রির পর মিলছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘায় লোকসান দাঁড়াচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে অনেকে তাদের উৎপাদিত ফসল গবাদি পশুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের মৌসুমের শুরুতেই চড়া দামে বীজ, সার, ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে। শ্রম খরচও ছিল বেশি। একটি ফুলকপি উৎপাদনে যেখানে খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, সেখানে তারা বাজারে বিক্রি করছেন মাত্র ৪ থেকে ৫ টাকায়। অন্যদিকে শিম, মুলা, নতুন আলু বা টমেটোর ক্ষেত্রেও একই সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের হতাশা এতোটাই চরমে যে অনেকে বাধ্য হয়ে তাদের ফসল মাঠেই ফেলে দিচ্ছেন। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলে চাষাবাদ করে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা, অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের এমন দামহীনতা দু’য়ের মাঝে পিষ্ট হচ্ছেন কৃষক।

এ সংকট উত্তরণে কৃষি খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাওয়া যাচ্ছে না ফুলকপির ন্যায্য মূল্য

লোকসানে কৃষকের হতাশা: কমছে সবজি চাষের প্রবণতা

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। এক মাস আগেও ঢাকায় সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া, কিন্তু বর্তমানে ফুলকপি সহ অন্যান্য সবজির দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ঢাকার বাজারে যেখানে একটি বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, সেখানে কৃষকরা পাচ্ছেন মাত্র ৪ থেকে ৫ টাকা।

প্রান্তিক কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, কিন্তু বিক্রির পর মিলছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘায় লোকসান দাঁড়াচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে অনেকে তাদের উৎপাদিত ফসল গবাদি পশুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের মৌসুমের শুরুতেই চড়া দামে বীজ, সার, ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে। শ্রম খরচও ছিল বেশি। একটি ফুলকপি উৎপাদনে যেখানে খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, সেখানে তারা বাজারে বিক্রি করছেন মাত্র ৪ থেকে ৫ টাকায়। অন্যদিকে শিম, মুলা, নতুন আলু বা টমেটোর ক্ষেত্রেও একই সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের হতাশা এতোটাই চরমে যে অনেকে বাধ্য হয়ে তাদের ফসল মাঠেই ফেলে দিচ্ছেন। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলে চাষাবাদ করে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা, অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের এমন দামহীনতা দু’য়ের মাঝে পিষ্ট হচ্ছেন কৃষক।

এ সংকট উত্তরণে কৃষি খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।