০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

শাহতলীতে চাষ হচ্ছে টককে মিষ্টি বানানো ফল আফ্রিকার ‘মিরাকেল বেরি’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 130

ছবি সংগৃহীত

 

চেরির মতো লালচে রঙ, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট তবে গুণে একেবারে জাদুকরি। আফ্রিকার বিস্ময়কর ফল ‘মিরাকেল বেরি’ এখন চাষ হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে। স্থানীয় ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামে একটি বাগানে এ ফলের সাফল্য পেয়েছেন শৌখিন ফল চাষি হেলাল উদ্দিন।

ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে ফেলে রাখা দুটি পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন তিনি। চার বছর আগে সেখানে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে চারা রোপণ করেন। আজ সে জমিতেই গড়ে উঠেছে তিন একরের বিস্তৃত ফলের বাগান।

বিজ্ঞাপন

এই ফলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মুখের স্বাদ পাল্টাতে পারে। একটি মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক, তেতো কিংবা বিস্বাদ খাবারও মিষ্টি লাগে। হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে পাঁচটি চারা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই চাষ। এখন প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে এবং প্রতিদিন ঝরে পড়ছে লালচে পাকা ফল।

তবে এই ফলের সংরক্ষণক্ষমতা খুব কম মাটিতে ঝরার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে এই ফল সহজে মেলে না। স্বাদ নিতে হলে যেতে হবে সরাসরি বাগানেই।

মিরাকেল বেরি গরম ও মৃদু আবহাওয়ার উপযোগী। হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের যেকোন জায়গায় এ গাছ চাষ করা সম্ভব এবং গাছটি প্রায় সারা বছরই ফল দেয়। ফলটির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও।

এই জাদুকরি বৈশিষ্ট্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় বাগান দেখতে আসছেন অনেক উৎসাহী দর্শনার্থী। যাঁরা ফলটির স্বাদ নিয়েছেন, তাঁরা বলছেন একটি মাত্র মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর টক আম, লেবু, চালতা কিংবা তেতো খাবার খেলেও তা মিষ্টি লাগে। বিশেষ করে যারা টক বা তেতো জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক অসাধারণ সমাধান।

তবে বাজারে এই ফল এখনো সুলভ নয়। মিরাকেল বেরির স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে চাঁদপুরের শাহতলীর ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ বাগানে। এখানেই দেশের মাটিতে এক আফ্রিকান বিস্ময়ের বাস্তব রূপ দেখছেন অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহতলীতে চাষ হচ্ছে টককে মিষ্টি বানানো ফল আফ্রিকার ‘মিরাকেল বেরি’

আপডেট সময় ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

চেরির মতো লালচে রঙ, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট তবে গুণে একেবারে জাদুকরি। আফ্রিকার বিস্ময়কর ফল ‘মিরাকেল বেরি’ এখন চাষ হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে। স্থানীয় ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামে একটি বাগানে এ ফলের সাফল্য পেয়েছেন শৌখিন ফল চাষি হেলাল উদ্দিন।

ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে ফেলে রাখা দুটি পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন তিনি। চার বছর আগে সেখানে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে চারা রোপণ করেন। আজ সে জমিতেই গড়ে উঠেছে তিন একরের বিস্তৃত ফলের বাগান।

বিজ্ঞাপন

এই ফলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মুখের স্বাদ পাল্টাতে পারে। একটি মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক, তেতো কিংবা বিস্বাদ খাবারও মিষ্টি লাগে। হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে পাঁচটি চারা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই চাষ। এখন প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে এবং প্রতিদিন ঝরে পড়ছে লালচে পাকা ফল।

তবে এই ফলের সংরক্ষণক্ষমতা খুব কম মাটিতে ঝরার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে এই ফল সহজে মেলে না। স্বাদ নিতে হলে যেতে হবে সরাসরি বাগানেই।

মিরাকেল বেরি গরম ও মৃদু আবহাওয়ার উপযোগী। হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের যেকোন জায়গায় এ গাছ চাষ করা সম্ভব এবং গাছটি প্রায় সারা বছরই ফল দেয়। ফলটির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও।

এই জাদুকরি বৈশিষ্ট্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় বাগান দেখতে আসছেন অনেক উৎসাহী দর্শনার্থী। যাঁরা ফলটির স্বাদ নিয়েছেন, তাঁরা বলছেন একটি মাত্র মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর টক আম, লেবু, চালতা কিংবা তেতো খাবার খেলেও তা মিষ্টি লাগে। বিশেষ করে যারা টক বা তেতো জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক অসাধারণ সমাধান।

তবে বাজারে এই ফল এখনো সুলভ নয়। মিরাকেল বেরির স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে চাঁদপুরের শাহতলীর ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ বাগানে। এখানেই দেশের মাটিতে এক আফ্রিকান বিস্ময়ের বাস্তব রূপ দেখছেন অনেকে।