কিশোরগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ২ কিশোর নিহত, গুরুতর আহত আরও এক বন্ধু

- আপডেট সময় ০৩:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
- / 5
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের আরও এক বন্ধু।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাজিতপুর-সরারচর আঞ্চলিক সড়কের পৈলানপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই কিশোর হলো পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের মো. কদর মিয়ার ছেলে মো. সিফাত (১৫) ও সৌদি প্রবাসী মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয় মিয়া (১৬)। আহত কিশোর আমির হামজা (১৭) একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. গেনু মিয়ার ছেলে। তিনজনই স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলযোগে সিফাত, হৃদয় ও হামজা বাজিতপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পৈলানপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনই ছিটকে পড়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এবং গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুরে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাত ও হৃদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তবে ঢাকা নেওয়ার পথেই তারা দু’জন মারা যান। বর্তমানে গুরুতর আহত আমির হামজা জহুরুল ইসলাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম শোক ও আতঙ্ক। এই ঘটনায় এলাকার মানুষজন সড়কে নিরাপত্তার অভাব ও দ্রুতগতির যান চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হাসানের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছালমা আক্তার বলেন, “পৈলানপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোর নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক।”
এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, সড়কে নিরাপত্তার ঘাটতি ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো কতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও চালকদের সচেতনতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।