ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিহারে ডাইনি বিদ্যার চর্চায় একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে করতে বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা ব্রিকস সম্মেলনে শান্তি ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে মোদির কড়া বার্তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি হতে পারে: নেতানিয়াহু পাকিস্তানে টানা বর্ষণে বন্যায় প্রাণ গেল ১৯ জনের ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় পতন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনা ও কূটনৈতিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের প্রেসিডেন্ট হিমছড়ি সৈকতে স্নানে নেমে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ আরও ২ জন কেনিয়ায় আন্দোলনের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১১, আহত বহু

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ট্রাকের চাপায় বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নুর জাহান হোটেলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সলঙ্গা থানার পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) এবং তার ছোট ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পরিবারের আরেক সদস্য রাসেল খন্দকার।

স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ বাবা আব্দুল মান্নানকে চিকিৎসার জন্য এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন জুয়েল ও রাসেল। তারা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে রওনা দেন। কিন্তু পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় মহাসড়কের খানাখন্দপূর্ণ জায়গায় অটোরিকশাটি মাঝ রাস্তায় উঠে পড়ে।

ঠিক সেই সময় বনপাড়াগামী একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার। রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেল খন্দকারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করে। তবে চালক ও হেলপার দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, “মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ওই অংশে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ট্রাকের চাপায় বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:২১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নুর জাহান হোটেলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সলঙ্গা থানার পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) এবং তার ছোট ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পরিবারের আরেক সদস্য রাসেল খন্দকার।

স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ বাবা আব্দুল মান্নানকে চিকিৎসার জন্য এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন জুয়েল ও রাসেল। তারা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে রওনা দেন। কিন্তু পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় মহাসড়কের খানাখন্দপূর্ণ জায়গায় অটোরিকশাটি মাঝ রাস্তায় উঠে পড়ে।

ঠিক সেই সময় বনপাড়াগামী একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার। রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেল খন্দকারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করে। তবে চালক ও হেলপার দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, “মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ওই অংশে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।