ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রেমাদাসায় তাসকিন–তানজিমের বোলিং তোপে ২৪৪ রানে থামল লঙ্কানরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৮.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, উল্লেখযোগ্য পোশাক খাত জুলাই সনদ দলীয় হলে সার্বজনীনতা হারাবে: আন্দালিভ রহমান পার্থ পাকিস্তানে সরকারি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমিশনারসহ নিহত ৫, আহত ১১ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটলেও ফ্যাসিস্টিক ব্যবস্থা এখনও বিদ্যমান: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপির ত্যাগ বেশি: তারেক রহমান চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রাকের ধাক্কা, গাড়ি কেটে হেলপারকে উদ্ধার উত্তরসূরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়: দালাই লামা চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর দক্ষতার ওপর আস্থা রয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবি: নিখোঁজ আরও দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) সকালে ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় নদে ভেসে থাকা অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে একদিনের ব্যবধানে তিন শিক্ষার্থীর মরদেহই উদ্ধার হলো।

নিহতরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) শাপলা আক্তার (১৪) নামে আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে একই উপজেলার চরআলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে।

বুধবার ভোরে নিখোঁজদের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় নদে দুটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। পরে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পাড়ে তোলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার এলাকায় তিন শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নৌকাডুবির শিকার হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সেদিনই শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি দুই শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পরই ডুবুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। অবশেষে বুধবার সকালে আবির ও জুবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর প্রবল স্রোত এবং দুর্বল নৌযান ব্যবহারের কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। তারা নৌপথে শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবি: নিখোঁজ আরও দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) সকালে ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় নদে ভেসে থাকা অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে একদিনের ব্যবধানে তিন শিক্ষার্থীর মরদেহই উদ্ধার হলো।

নিহতরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) শাপলা আক্তার (১৪) নামে আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে একই উপজেলার চরআলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে।

বুধবার ভোরে নিখোঁজদের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় নদে দুটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। পরে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পাড়ে তোলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার এলাকায় তিন শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নৌকাডুবির শিকার হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সেদিনই শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি দুই শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পরই ডুবুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। অবশেষে বুধবার সকালে আবির ও জুবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর প্রবল স্রোত এবং দুর্বল নৌযান ব্যবহারের কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। তারা নৌপথে শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।