সান্তো ডোমিঙ্গোতে নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে প্রাণহানি ১৮৪, নিহত জনপ্রিয় গায়ক রুবি পেরেজ

- আপডেট সময় ১০:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
ডমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোতে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের বিখ্যাত জেট সেট নাইট ক্লাবে একটি কনসার্ট চলাকালে হঠাৎ ছাদ ধসে এই বিপর্যয় ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন লাতিন আমেরিকার জনপ্রিয় মেরেংগে শিল্পী রুবি পেরেজ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় ক্লাবটিতে ৫০০ থেকে ১ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবটির ধারণক্ষমতা ছিল ৭০০ বসার এবং ১ হাজার দাঁড়িয়ে থাকার। তবে ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ঘটনার পরপরই প্রায় ৪০০ জন উদ্ধারকর্মী জীবিতদের খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। সান্তো ডোমিঙ্গোর জরুরি বিভাগের প্রধান হুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ জানান, অনেকে এখনো জীবিত আছেন বলে তারা আশা করছেন।
বিবিসি জানায়, সপ্তাহের প্রতি সোমবার জেট সেট নাইট ক্লাবে কনসার্টের আয়োজন করা হতো, যেখানে উপস্থিত থাকতেন দেশের তারকা রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
নাইট ক্লাবের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকরা টেবিলে বসে রুবি পেরেজের পরিবেশনায় মুগ্ধ, পেছনে অনেকে তাল মিলিয়ে নাচছেন। আর সেই সময়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
রুবি পেরেজের মেয়ে জুলিনকা পেরেজ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পর তার বাবার কণ্ঠ ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে শোনা গিয়েছিল। তিনি গান গাইছিলেন, যাতে উদ্ধারকারীরা তাকে শনাক্ত করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বিবেচিত রুবি পেরেজ প্রথমে বেসবল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সঙ্গীতকে বেছে নেন। ১৯৮৭ সালে একক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি এবং একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দেন।
তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বুসকানডো তুস বেসোস’, ‘ডামে ভেনেনো’, ‘সোবরেভিভিরে’ প্রভৃতি। তার অ্যালবাম ‘রুবি পেরেজ’ ট্রপিক্যাল চার্টে ১৫ নম্বরে এবং ‘লাভ হার’ গানটি লাতিন চার্টে ২৯ নম্বরে উঠে আসে। তিনি পেয়েছেন ‘ক্যাসান্দ্রা অ্যাওয়ার্ডস’-এর মতো সম্মানজনক পুরস্কারও।
রুবি পেরেজের মৃত্যু ডোমিনিকান সংস্কৃতি এবং লাতিন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।