০৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: আঞ্চলিক সহযোগিতার বার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 84

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়ার মধ্যে।

শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো ছবি আকারে প্রকাশ করেছে, যা ইতিমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় উঠে এসেছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নানা দিক। উভয় নেতা বিমসটেকের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের পর আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই দায়িত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সামনে খুলে যাচ্ছে এক নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নেতৃত্বদানের সুযোগ পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অধিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিমসটেক এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে, যেখানে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ ও ভবিষ্যৎ দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য কেবল সম্মানজনক নয়, বরং তা একটি নতুন আঞ্চলিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: আঞ্চলিক সহযোগিতার বার্তা

আপডেট সময় ০২:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়ার মধ্যে।

শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো ছবি আকারে প্রকাশ করেছে, যা ইতিমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় উঠে এসেছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নানা দিক। উভয় নেতা বিমসটেকের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের পর আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই দায়িত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সামনে খুলে যাচ্ছে এক নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নেতৃত্বদানের সুযোগ পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অধিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিমসটেক এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে, যেখানে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ ও ভবিষ্যৎ দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য কেবল সম্মানজনক নয়, বরং তা একটি নতুন আঞ্চলিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।