ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দিনাজপুরে লিচুর ফুলে মধু উৎপাদনে বিপ্লব, আয় ১২০ কোটি টাকার বেশি শেখ হাসিনার ফেরার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, কঠোর নজরদারিতে থাকবে উৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি হজযাত্রী নিয়ে অনিশ্চয়তা: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি এজেন্সিগুলোর প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো উচিত হয়নি – মন্তব্য নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের যুগান্তকারী চুক্তি টেকনাফ উপকূলে আরাকান আর্মির দাপট: ট্রলারসহ ১১ জেলে অপহৃত মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়: নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডে বাংলাদেশের চুক্তি সই কিছু মহল অধ্যাপক ইউনূসকে জোরপূর্বক আরও ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে চায়: মাহমুদুর রহমান মান্না

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: আঞ্চলিক সহযোগিতার বার্তা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়ার মধ্যে।

শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো ছবি আকারে প্রকাশ করেছে, যা ইতিমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

আলোচনায় উঠে এসেছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নানা দিক। উভয় নেতা বিমসটেকের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের পর আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই দায়িত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সামনে খুলে যাচ্ছে এক নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নেতৃত্বদানের সুযোগ পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অধিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিমসটেক এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে, যেখানে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ ও ভবিষ্যৎ দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য কেবল সম্মানজনক নয়, বরং তা একটি নতুন আঞ্চলিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: আঞ্চলিক সহযোগিতার বার্তা

আপডেট সময় ০২:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়ার মধ্যে।

শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো ছবি আকারে প্রকাশ করেছে, যা ইতিমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

আলোচনায় উঠে এসেছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নানা দিক। উভয় নেতা বিমসটেকের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের পর আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই দায়িত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সামনে খুলে যাচ্ছে এক নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নেতৃত্বদানের সুযোগ পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অধিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিমসটেক এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে, যেখানে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ ও ভবিষ্যৎ দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য কেবল সম্মানজনক নয়, বরং তা একটি নতুন আঞ্চলিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।