ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

শরীয়তপুরে আধিপত্য নিয়ে রণক্ষেত্র জাজিরা, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 49

ছবি: সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। শনিবার সকালে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা গ্রামে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মধ্যে শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্যকে ঘিরে দ্বন্দ্ব চলছিল। নানা সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে তা চরমে পৌঁছায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে বালতি থেকে হাতবোমা ছুড়ে মারতে থাকে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সংঘর্ষের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলমেট পরে ও বালতি হাতে একদল লোক মাঠে অবস্থান নিচ্ছে এবং হাতবোমা ছুড়ে মারছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে জাজিরা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, “আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা সংঘর্ষের ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে আধিপত্য নিয়ে রণক্ষেত্র জাজিরা, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। শনিবার সকালে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা গ্রামে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মধ্যে শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্যকে ঘিরে দ্বন্দ্ব চলছিল। নানা সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে তা চরমে পৌঁছায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে বালতি থেকে হাতবোমা ছুড়ে মারতে থাকে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সংঘর্ষের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলমেট পরে ও বালতি হাতে একদল লোক মাঠে অবস্থান নিচ্ছে এবং হাতবোমা ছুড়ে মারছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে জাজিরা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, “আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা সংঘর্ষের ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।