০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES
পরিবেশ উপদেষ্টা

দক্ষিণ এশিয়ার দূষণ সংকট: আঞ্চলিক পদক্ষেপ ছাড়া মুক্তি নেই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 47

ছবি: সংগৃহীত

 

বায়ুদূষণ এখন আর শুধু একটি পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে বলেছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দূষণের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ উৎসই প্রতিবেশী দেশগুলো। তাই এই সংকট মোকাবিলায় শুধু ঘরোয়া পদক্ষেপ নয়, প্রয়োজন জোরালো আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই WHO-এর অন্তর্বর্তীকালীন মানদণ্ড অনুযায়ী বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নির্দিষ্ট দূষণকারী খাত চিহ্নিত করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য দূষণ কমিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ প্রায় প্রস্তুত। এটি আইন প্রয়োগ শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিল্পখাতে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং গণপরিবহন আধুনিকায়নে সহায়তা করবে।

রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে গড়ে ওঠা ইটভাটা নিষিদ্ধ করা, পুরনো বাস তুলে দেওয়া এবং রাস্তার ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে সবুজায়ন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। ঢাকার মতো শহরে গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে গেছে। এ সংকট আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি।

তবে তিনি আশাবাদী “প্রযুক্তি, বিকল্প ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই সংকট সমাধান সম্ভব। এখনই সময় সক্রিয় হওয়ার, কারণ নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি।”

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বায়ুদূষণ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবেশ উপদেষ্টা

দক্ষিণ এশিয়ার দূষণ সংকট: আঞ্চলিক পদক্ষেপ ছাড়া মুক্তি নেই

আপডেট সময় ১২:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

বায়ুদূষণ এখন আর শুধু একটি পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে বলেছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দূষণের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ উৎসই প্রতিবেশী দেশগুলো। তাই এই সংকট মোকাবিলায় শুধু ঘরোয়া পদক্ষেপ নয়, প্রয়োজন জোরালো আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই WHO-এর অন্তর্বর্তীকালীন মানদণ্ড অনুযায়ী বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নির্দিষ্ট দূষণকারী খাত চিহ্নিত করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য দূষণ কমিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ প্রায় প্রস্তুত। এটি আইন প্রয়োগ শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিল্পখাতে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং গণপরিবহন আধুনিকায়নে সহায়তা করবে।

রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে গড়ে ওঠা ইটভাটা নিষিদ্ধ করা, পুরনো বাস তুলে দেওয়া এবং রাস্তার ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে সবুজায়ন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। ঢাকার মতো শহরে গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে গেছে। এ সংকট আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি।

তবে তিনি আশাবাদী “প্রযুক্তি, বিকল্প ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই সংকট সমাধান সম্ভব। এখনই সময় সক্রিয় হওয়ার, কারণ নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি।”

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বায়ুদূষণ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।