ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি সেনার হাত থেকে মুক্তি পেলেন অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতা হামদান বল্লাল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

এই বছরের অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর সহ-নির্মাতা হামদান বল্লালকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছিল। পশ্চিম তীরের সুসিয়া গ্রামে দখলদার সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীদের হাতে প্রথমে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তারা হামদানকে ইসরায়েলি সেনাদের কাছে তুলে দেয়। সোমবারের (২৪ মার্চ) এ ঘটনার পর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও, এর আগেই বল্লালের সঙ্গে ঘটে যায় নির্মম নির্যাতনের এক পর্ব।

সহ-পরিচালক জুবাল আব্রাহাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, হামদানকে সারা রাত হাতকড়া পরিয়ে একটি সামরিক ঘাঁটিতে মারধর করা হয়। এরপর মুক্তি পেলেও তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত ছিলেন। বল্লাল জানিয়েছেন, তাঁকে চোখ বেঁধে একটি ঠাণ্ডা ঘরে রাখা হয়েছিল, যেখানে কাঁপতে কাঁপতে রাত কেটেছে। তাঁর কথায়, “আমি কিছুই দেখতে পাইনি, শুধু শুনেছি সেনারা আমার নিয়ে হাসাহাসি করছে।”

এপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বল্লালসহ আরও দুই ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরের কিরিয়াত আরবাত বসতিস্থানের একটি পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। তাঁদের আইনজীবী লিয়া সেমেল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনজনের বিরুদ্ধেই এক তরুণ বসতিস্থাপনকারীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তবে তারা এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।

হামদান বল্লাল সহ চারজন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি অধিকারকর্মী মিলে ‘নো আদার ল্যান্ড’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন। এটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তার অঞ্চলের ঘরবাড়ি ধ্বংস, দখলদারিত্ব এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন নিয়ে নির্মিত হয়। ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে এই কাজটি সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়।

হামদান বল্লালের আটকের ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তির হয়রানির চিত্র নয়, বরং এটি দখলদার ব্যবস্থার গভীর সংক।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি সেনার হাত থেকে মুক্তি পেলেন অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতা হামদান বল্লাল

আপডেট সময় ০৩:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

এই বছরের অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর সহ-নির্মাতা হামদান বল্লালকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছিল। পশ্চিম তীরের সুসিয়া গ্রামে দখলদার সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীদের হাতে প্রথমে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তারা হামদানকে ইসরায়েলি সেনাদের কাছে তুলে দেয়। সোমবারের (২৪ মার্চ) এ ঘটনার পর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও, এর আগেই বল্লালের সঙ্গে ঘটে যায় নির্মম নির্যাতনের এক পর্ব।

সহ-পরিচালক জুবাল আব্রাহাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, হামদানকে সারা রাত হাতকড়া পরিয়ে একটি সামরিক ঘাঁটিতে মারধর করা হয়। এরপর মুক্তি পেলেও তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত ছিলেন। বল্লাল জানিয়েছেন, তাঁকে চোখ বেঁধে একটি ঠাণ্ডা ঘরে রাখা হয়েছিল, যেখানে কাঁপতে কাঁপতে রাত কেটেছে। তাঁর কথায়, “আমি কিছুই দেখতে পাইনি, শুধু শুনেছি সেনারা আমার নিয়ে হাসাহাসি করছে।”

এপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বল্লালসহ আরও দুই ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরের কিরিয়াত আরবাত বসতিস্থানের একটি পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। তাঁদের আইনজীবী লিয়া সেমেল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনজনের বিরুদ্ধেই এক তরুণ বসতিস্থাপনকারীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তবে তারা এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।

হামদান বল্লাল সহ চারজন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি অধিকারকর্মী মিলে ‘নো আদার ল্যান্ড’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন। এটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তার অঞ্চলের ঘরবাড়ি ধ্বংস, দখলদারিত্ব এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন নিয়ে নির্মিত হয়। ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে এই কাজটি সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়।

হামদান বল্লালের আটকের ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তির হয়রানির চিত্র নয়, বরং এটি দখলদার ব্যবস্থার গভীর সংক।