ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

রোডম্যাপ নয়, ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জনগণের সঙ্গে কৌতুক ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নয়, বরং এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে সরকার।

বুধবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বহুবার বলেছি, দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো পরিষ্কার বার্তা আসেনি। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জনগণের কোনো আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কারণ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। আজ জনগণ ভোট দিতে পারে না, তাদের মতামতকে সরকার পায়ের নিচে ফেলে রেখেছে।”

বিএনপি মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, “নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের সংকটের সমাধান করতে। অনির্বাচিত সরকার দিয়ে জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তন আসবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই।”

এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।”

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে, না হলে জনগণই রাস্তায় নেমে তাদের রায় দিয়ে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোডম্যাপ নয়, ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১২:১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জনগণের সঙ্গে কৌতুক ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নয়, বরং এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে সরকার।

বুধবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বহুবার বলেছি, দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো পরিষ্কার বার্তা আসেনি। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জনগণের কোনো আস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কারণ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। আজ জনগণ ভোট দিতে পারে না, তাদের মতামতকে সরকার পায়ের নিচে ফেলে রেখেছে।”

বিএনপি মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, “নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের সংকটের সমাধান করতে। অনির্বাচিত সরকার দিয়ে জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তন আসবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই।”

এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।”

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে, না হলে জনগণই রাস্তায় নেমে তাদের রায় দিয়ে দেবে।