ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় পুরস্কার যেন জীবিত অবস্থায়ই সম্মানিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এমন মানবিক ও সময়োপযোগী চিন্তার প্রতিফলন ঘটালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জীবিত অবস্থায় সম্মান পেলে তা ব্যক্তি, পরিবার এবং দেশের জন্য এক অপূর্ব আনন্দের উৎস। কিন্তু আমরা অনেক সময়েই সেই আনন্দ কেড়ে নিই মরণোত্তর পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে।”

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আজকের অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যাদের আমরা সম্মান জানাচ্ছি, তারা আমাদের মাঝে নেই। এটা কষ্টের, কারণ তারা নিজ চোখে এই জাতীয় স্বীকৃতি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি একটি সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ করি যাতে মরণোত্তর পুরস্কারের পরিবর্তে জীবিতদের সম্মান জানানো যায়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা কৃতজ্ঞতা ও মানবিকতার একটি শক্ত বার্তা দিতে পারি।”

পুরস্কারপ্রাপ্তদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “তাদের কাজ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই গুণীজনেরা শুধু আমাদের সম্মানিত করেছেন না, বরং তারা আমাদের জাতির পরিচয় বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন।”

তিনি সতর্ক করে দেন, “যদি আমরা জীবিত অবস্থায় তাঁদের স্মরণ না করি, তাহলে ইতিহাসের কাছে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগণিত হব। যথাসময়ে সম্মান দেওয়াই প্রকৃত কৃতজ্ঞতার পরিচয়।”

দেশপ্রেম, কৃতজ্ঞতা ও মানবিকতার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে অধ্যাপক ইউনূসের এই বক্তব্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়ায়। জাতির বিবেক হিসেবে তাঁর এই আহ্বান আগামী দিনের নীতিনির্ধারণে গভীর প্রভাব ফেলবে বলেই আশাবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান 

আপডেট সময় ০৪:৩২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় পুরস্কার যেন জীবিত অবস্থায়ই সম্মানিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এমন মানবিক ও সময়োপযোগী চিন্তার প্রতিফলন ঘটালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জীবিত অবস্থায় সম্মান পেলে তা ব্যক্তি, পরিবার এবং দেশের জন্য এক অপূর্ব আনন্দের উৎস। কিন্তু আমরা অনেক সময়েই সেই আনন্দ কেড়ে নিই মরণোত্তর পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে।”

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আজকের অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যাদের আমরা সম্মান জানাচ্ছি, তারা আমাদের মাঝে নেই। এটা কষ্টের, কারণ তারা নিজ চোখে এই জাতীয় স্বীকৃতি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি একটি সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ করি যাতে মরণোত্তর পুরস্কারের পরিবর্তে জীবিতদের সম্মান জানানো যায়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা কৃতজ্ঞতা ও মানবিকতার একটি শক্ত বার্তা দিতে পারি।”

পুরস্কারপ্রাপ্তদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “তাদের কাজ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই গুণীজনেরা শুধু আমাদের সম্মানিত করেছেন না, বরং তারা আমাদের জাতির পরিচয় বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন।”

তিনি সতর্ক করে দেন, “যদি আমরা জীবিত অবস্থায় তাঁদের স্মরণ না করি, তাহলে ইতিহাসের কাছে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগণিত হব। যথাসময়ে সম্মান দেওয়াই প্রকৃত কৃতজ্ঞতার পরিচয়।”

দেশপ্রেম, কৃতজ্ঞতা ও মানবিকতার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে অধ্যাপক ইউনূসের এই বক্তব্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়ায়। জাতির বিবেক হিসেবে তাঁর এই আহ্বান আগামী দিনের নীতিনির্ধারণে গভীর প্রভাব ফেলবে বলেই আশাবাদ।