০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59 ‘হ্যাঁ’–‘না’ পোস্টে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন

গাইবান্ধায় সরকারি গুদামে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কৃষক, ধান সংগ্রহে চরম ভাটা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 80

ছবি সংগৃহীত

 

গাইবান্ধায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান না দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র সাড়ে চার শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। নির্ধারিত মূল্য ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা, সঙ্গে হয়রানি ও বাড়তি খরচ এসব কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, জেলার ১১টি খাদ্য গুদামে এবার ৮ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩৬৯ মেট্রিক টন। অথচ জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি ধান।

বিজ্ঞাপন

সরকারিভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ টাকা কেজি বা ১ হাজার ৩২০ টাকা প্রতি মণ। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৩০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গুদামে ধান পৌঁছানোর পরিবহন খরচ ও হয়রানির আশঙ্কা।

সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক ফরহাদ বলেন, “বাজারে ঘরে বসেই ব্যবসায়ীর কাছে ভালো দামে ধান বিক্রি করা যায়। গুদামে নিতে গেলে খরচ বাড়ে, লোকসান হয়, ঝামেলাও বেশি।”

তিনগাছ তলা এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, “সরকার যদি সরাসরি নগদ টাকায়, সিন্ডিকেটমুক্ত এবং হয়রানিমুক্তভাবে ধান সংগ্রহ করে, তাহলে কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে গুদামে ধান দেবে।”

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের সাড়া পাওয়া যায়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তী মৌসুমে কৃষকদের আগ্রহী করতে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় ধান সংগ্রহ অভিযান। কৃষকের স্বার্থে যদি সরকারি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও লাভজনক মূল্য নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে এমন ব্যর্থতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাইবান্ধায় সরকারি গুদামে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কৃষক, ধান সংগ্রহে চরম ভাটা

আপডেট সময় ০১:৫২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

গাইবান্ধায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান না দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র সাড়ে চার শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। নির্ধারিত মূল্য ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা, সঙ্গে হয়রানি ও বাড়তি খরচ এসব কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, জেলার ১১টি খাদ্য গুদামে এবার ৮ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩৬৯ মেট্রিক টন। অথচ জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি ধান।

বিজ্ঞাপন

সরকারিভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ টাকা কেজি বা ১ হাজার ৩২০ টাকা প্রতি মণ। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৩০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গুদামে ধান পৌঁছানোর পরিবহন খরচ ও হয়রানির আশঙ্কা।

সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক ফরহাদ বলেন, “বাজারে ঘরে বসেই ব্যবসায়ীর কাছে ভালো দামে ধান বিক্রি করা যায়। গুদামে নিতে গেলে খরচ বাড়ে, লোকসান হয়, ঝামেলাও বেশি।”

তিনগাছ তলা এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, “সরকার যদি সরাসরি নগদ টাকায়, সিন্ডিকেটমুক্ত এবং হয়রানিমুক্তভাবে ধান সংগ্রহ করে, তাহলে কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে গুদামে ধান দেবে।”

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের সাড়া পাওয়া যায়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তী মৌসুমে কৃষকদের আগ্রহী করতে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় ধান সংগ্রহ অভিযান। কৃষকের স্বার্থে যদি সরকারি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও লাভজনক মূল্য নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে এমন ব্যর্থতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।