ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

ফের আগ্রাসী ইসরায়েল, গাজায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের মাটি। গত এক সপ্তাহেই ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৩০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২০০ জনের বেশি।

সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬১ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ হাজার ৮২ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জনেরও বেশি মানুষ।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশ উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও চারটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় এখনও বহু মরদেহ পড়ে আছে, যেগুলো এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৫ মাসব্যাপী টানা সামরিক আগ্রাসনের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে হামাসের সঙ্গে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে ফের আকাশ পথে বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় চলছে। খাদ্য, পানি, ওষুধসহ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা সেবাও ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরহারা হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিলেও বড় শক্তিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ এখনো অনুপস্থিত।

গাজাবাসীর আর্তনাদ এখন শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, কাঁপিয়ে দিচ্ছে পুরো বিশ্ব বিবেককে। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—এই নৃশংসতা আর কতদূর? শান্তি আবার কবে ফিরবে রক্তাক্ত গাজায়?

নিউজটি শেয়ার করুন

ফের আগ্রাসী ইসরায়েল, গাজায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের মাটি। গত এক সপ্তাহেই ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৩০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২০০ জনের বেশি।

সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬১ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ হাজার ৮২ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জনেরও বেশি মানুষ।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশ উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও চারটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় এখনও বহু মরদেহ পড়ে আছে, যেগুলো এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৫ মাসব্যাপী টানা সামরিক আগ্রাসনের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে হামাসের সঙ্গে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে ফের আকাশ পথে বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় চলছে। খাদ্য, পানি, ওষুধসহ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা সেবাও ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরহারা হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিলেও বড় শক্তিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ এখনো অনুপস্থিত।

গাজাবাসীর আর্তনাদ এখন শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, কাঁপিয়ে দিচ্ছে পুরো বিশ্ব বিবেককে। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—এই নৃশংসতা আর কতদূর? শান্তি আবার কবে ফিরবে রক্তাক্ত গাজায়?