ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইউরোপে নতুন নিরাপত্তা ব্যুহ: সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে জার্মানি, ইউরোপে নেতৃত্বের নতুন প্রস্তুতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

 

জার্মান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রালফ হ্যামারস্টাইন এক ব্যঙ্গাত্মক হাসি দিয়ে প্রশ্ন করেন, “তুমি কি মনে করো পুতিনকে বিশ্বাস করা যায়?” ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মতই তার জবাব ‘না’।

এই ‘না’-এর জোরেই ইউরোপে সামরিক পুনর্গঠনের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এমন একটি সমঝোতার চেষ্টা করছে, যা রাশিয়ার পক্ষে লাভজনক হতে পারে, তখন ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তার দায় নিজেকেই নিতে প্রস্তুত হচ্ছে।

জার্মানি, যা দীর্ঘদিন সামরিক খাতে অবহেলা করেছিল, এখন পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। প্রত্যাশিত নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ঘোষণা দিয়েছেন স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যুগে এবারই সবচেয়ে বড় সামরিক বিনিয়োগ করবে জার্মানি।

সম্প্রতি সংবিধান সংশোধন করে ঋণ সীমাবদ্ধতা শিথিল করেছে বার্লিন, যা জার্মানির সামরিক বাজেট বাড়ানোর পথ খুলে দিয়েছে। যদি দেশটি জিডিপির ৩.৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে, তাহলে আগামী দশ বছরে ব্যয় ছাড়াবে ৬০০ বিলিয়ন ইউরো।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, জার্মানির একটি গোপন সামরিক ঘাঁটিতে পাঁচটি ন্যাটো মিত্র দেশের যৌথ মহড়া, যেখানে দেখা গেছে কীভাবে একটি শত্রু রাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে জোটের সদস্যরা।

হ্যামারস্টাইন বলছেন, “জার্মানি শুধু ইউরোপের কেন্দ্র নয়, এটি নেতৃত্বের প্রতীক। আমাদের দায়িত্ব এখন অনেক বড়।” ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ইউরোপের নিরাপত্তা চিন্তায় এক মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বার্লিনে একে বলা হচ্ছে “পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণ” যেখান থেকে শুরু হয়েছে নতুন সামরিক অধ্যায়।

বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ১০০ বিলিয়ন ইউরোর একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেন বুন্ডেসভের আধুনিকায়নে। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যার জন্য তাকে সংবিধান সংশোধন করতে হয়।

জার্মানি এখন আর নিরব দর্শক নয় এটি ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামোয় হয়ে উঠছে একটি নির্ভরযোগ্য ও দৃঢ় শক্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপে নতুন নিরাপত্তা ব্যুহ: সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে জার্মানি, ইউরোপে নেতৃত্বের নতুন প্রস্তুতি

আপডেট সময় ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

 

জার্মান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রালফ হ্যামারস্টাইন এক ব্যঙ্গাত্মক হাসি দিয়ে প্রশ্ন করেন, “তুমি কি মনে করো পুতিনকে বিশ্বাস করা যায়?” ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মতই তার জবাব ‘না’।

এই ‘না’-এর জোরেই ইউরোপে সামরিক পুনর্গঠনের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এমন একটি সমঝোতার চেষ্টা করছে, যা রাশিয়ার পক্ষে লাভজনক হতে পারে, তখন ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তার দায় নিজেকেই নিতে প্রস্তুত হচ্ছে।

জার্মানি, যা দীর্ঘদিন সামরিক খাতে অবহেলা করেছিল, এখন পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। প্রত্যাশিত নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ঘোষণা দিয়েছেন স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যুগে এবারই সবচেয়ে বড় সামরিক বিনিয়োগ করবে জার্মানি।

সম্প্রতি সংবিধান সংশোধন করে ঋণ সীমাবদ্ধতা শিথিল করেছে বার্লিন, যা জার্মানির সামরিক বাজেট বাড়ানোর পথ খুলে দিয়েছে। যদি দেশটি জিডিপির ৩.৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে, তাহলে আগামী দশ বছরে ব্যয় ছাড়াবে ৬০০ বিলিয়ন ইউরো।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, জার্মানির একটি গোপন সামরিক ঘাঁটিতে পাঁচটি ন্যাটো মিত্র দেশের যৌথ মহড়া, যেখানে দেখা গেছে কীভাবে একটি শত্রু রাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে জোটের সদস্যরা।

হ্যামারস্টাইন বলছেন, “জার্মানি শুধু ইউরোপের কেন্দ্র নয়, এটি নেতৃত্বের প্রতীক। আমাদের দায়িত্ব এখন অনেক বড়।” ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ইউরোপের নিরাপত্তা চিন্তায় এক মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বার্লিনে একে বলা হচ্ছে “পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণ” যেখান থেকে শুরু হয়েছে নতুন সামরিক অধ্যায়।

বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ১০০ বিলিয়ন ইউরোর একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেন বুন্ডেসভের আধুনিকায়নে। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যার জন্য তাকে সংবিধান সংশোধন করতে হয়।

জার্মানি এখন আর নিরব দর্শক নয় এটি ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামোয় হয়ে উঠছে একটি নির্ভরযোগ্য ও দৃঢ় শক্তি।