ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের: চিফ প্রসিকিউটর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

 

আন্তর্জাতিক মানের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকেই নিতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বললেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তার মতে, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হলেও, সে সিদ্ধান্ত একমাত্র সরকারের।

রোববার (২৩ মার্চ) সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, আলোচিত আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে ট্রাইব্যুনালে। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে এটাই প্রথম মামলা যার তদন্ত সম্পন্ন হলো।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ৭৫ জন। তখনই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এক মর্মান্তিক ভিডিও যেখানে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত দেহগুলো ভ্যানে তুলছেন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, একে একে লাশগুলো থানার সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর একটি পুলিশ ভ্যানে ঢুকিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সেই ছবি গোটা জাতিকে হতবাক করে তোলে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি হয় নিন্দার ঝড়।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, মামলার তদন্তে ভিডিও বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মামলা থেকে একটি উদাহরণ তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে বিচারের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের বিচার করতে হলে সময় লাগবে। তাড়াহুড়ো করলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে।”

এদিকে নিহতদের পরিবার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের প্রশ্ন যদি প্রমাণসহ এমন জঘন্য অপরাধের বিচার দীর্ঘায়িত হয়, তবে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কোথায় দাঁড়াবে?

সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার বিষয়। তবে এই মামলা শুধু বিচার নয়, রাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির একটি পরীক্ষাও বটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় ০৫:৪২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

আন্তর্জাতিক মানের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকেই নিতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বললেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তার মতে, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হলেও, সে সিদ্ধান্ত একমাত্র সরকারের।

রোববার (২৩ মার্চ) সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, আলোচিত আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে ট্রাইব্যুনালে। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে এটাই প্রথম মামলা যার তদন্ত সম্পন্ন হলো।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ৭৫ জন। তখনই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এক মর্মান্তিক ভিডিও যেখানে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত দেহগুলো ভ্যানে তুলছেন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, একে একে লাশগুলো থানার সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর একটি পুলিশ ভ্যানে ঢুকিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সেই ছবি গোটা জাতিকে হতবাক করে তোলে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি হয় নিন্দার ঝড়।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, মামলার তদন্তে ভিডিও বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মামলা থেকে একটি উদাহরণ তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে বিচারের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের বিচার করতে হলে সময় লাগবে। তাড়াহুড়ো করলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে।”

এদিকে নিহতদের পরিবার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের প্রশ্ন যদি প্রমাণসহ এমন জঘন্য অপরাধের বিচার দীর্ঘায়িত হয়, তবে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কোথায় দাঁড়াবে?

সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার বিষয়। তবে এই মামলা শুধু বিচার নয়, রাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির একটি পরীক্ষাও বটে।