ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

অতি কথনের রাজনীতি দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এতো অতি কথন মোটেও ভালো নয়: হাসনাতকে জিল্লুর রহমান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে করা স্ট্যাটাস ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বর্ষীয়ান সাংবাদিক জিল্লুর রহমান একটি ভিডিও বার্তায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “এতো অতি কথন মোটেও ভালো নয়। আপনি যা বলছেন, তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশকে অন্ধকার ও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”

ছাত্রনেতাদের কথিত ‘অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি’র প্রসঙ্গে তিনি একে হাস্যকর ও বিপজ্জনক বলে আখ্যা দেন। তাঁর মতে, সেনানিবাসে ‘গোপন বৈঠকের’ মতো বিষয় প্রকাশ্যে তুলে এনে রাজনীতির সংবেদনশীলতা নষ্ট করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সব আলোচনা কি প্রকাশযোগ্য? আমরা কি প্রতিদিন সব সত্য বলে বেড়াই?”

নিজের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের উদাহরণ টেনে জিল্লুর রহমান বলেন, “অনুষ্ঠানের আগে বা পরে নেতাদের সঙ্গে অনেক কথা হয়। সব কি বাইরে বলি? বললে কি এত বছর অনুষ্ঠান চালাতে পারতাম?”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা এখন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করছেন, যেখানে জনগণ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর খেলা। সেনাপ্রধান কখনোই বলেননি তারা ক্ষমতা নিতে চান, তাহলে এ ধরনের প্রচার কেন?”

বিএনপির অবস্থানের কথা টেনে তিনি বলেন, “তারা পর্যন্ত বলছে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হোক, তা চায় না। তাহলে কেন এই বিভ্রান্তি?”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরেও ষড়যন্ত্রের আভাস দেন তিনি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা যা করছেন, তার হিসেব রাখা হচ্ছে। গণমাধ্যম চুপ থাকলেও ভুলে যায় না।”

শেষে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করুন। দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবেন না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

অতি কথনের রাজনীতি দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এতো অতি কথন মোটেও ভালো নয়: হাসনাতকে জিল্লুর রহমান

আপডেট সময় ১২:৪০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে করা স্ট্যাটাস ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বর্ষীয়ান সাংবাদিক জিল্লুর রহমান একটি ভিডিও বার্তায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “এতো অতি কথন মোটেও ভালো নয়। আপনি যা বলছেন, তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশকে অন্ধকার ও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”

ছাত্রনেতাদের কথিত ‘অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি’র প্রসঙ্গে তিনি একে হাস্যকর ও বিপজ্জনক বলে আখ্যা দেন। তাঁর মতে, সেনানিবাসে ‘গোপন বৈঠকের’ মতো বিষয় প্রকাশ্যে তুলে এনে রাজনীতির সংবেদনশীলতা নষ্ট করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সব আলোচনা কি প্রকাশযোগ্য? আমরা কি প্রতিদিন সব সত্য বলে বেড়াই?”

নিজের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের উদাহরণ টেনে জিল্লুর রহমান বলেন, “অনুষ্ঠানের আগে বা পরে নেতাদের সঙ্গে অনেক কথা হয়। সব কি বাইরে বলি? বললে কি এত বছর অনুষ্ঠান চালাতে পারতাম?”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা এখন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করছেন, যেখানে জনগণ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর খেলা। সেনাপ্রধান কখনোই বলেননি তারা ক্ষমতা নিতে চান, তাহলে এ ধরনের প্রচার কেন?”

বিএনপির অবস্থানের কথা টেনে তিনি বলেন, “তারা পর্যন্ত বলছে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হোক, তা চায় না। তাহলে কেন এই বিভ্রান্তি?”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরেও ষড়যন্ত্রের আভাস দেন তিনি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউনূসের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা যা করছেন, তার হিসেব রাখা হচ্ছে। গণমাধ্যম চুপ থাকলেও ভুলে যায় না।”

শেষে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করুন। দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবেন না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।