০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

আগুন ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ধাক্কা কাটিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফ্লাইট চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। শুক্রবার সারাদিন বন্ধ থাকার পর, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। তবে শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা চালু হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। হিথ্রোর কাছাকাছি অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লেগে মুহূর্তেই তা ভয়াবহ রূপ নেয়। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের প্রায় ৭০ জন সদস্য দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এই আগুনের কারণে আশপাশের প্রায় এক লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, যা পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই বিমানবন্দরটি প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেয়। ৮০টির বেশি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত হিথ্রো হঠাৎ বন্ধ হয়ে পড়ায় বৈশ্বিক উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

শুক্রবার এক দিনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রীদের কেউ কেউ বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। কেউবা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও সঠিক তথ্য পাননি।

এমন অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ে ব্রিটিশ বিমান পরিবহন খাত বেশ বড় ধাক্কা খেল। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হিথ্রোর এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত স্থাপনায় সামান্য একটি বিপর্যয় কিভাবে পুরো বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

আগুন ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ধাক্কা কাটিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল শুরু

আপডেট সময় ১০:১৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফ্লাইট চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। শুক্রবার সারাদিন বন্ধ থাকার পর, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। তবে শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা চালু হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। হিথ্রোর কাছাকাছি অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লেগে মুহূর্তেই তা ভয়াবহ রূপ নেয়। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের প্রায় ৭০ জন সদস্য দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এই আগুনের কারণে আশপাশের প্রায় এক লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, যা পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই বিমানবন্দরটি প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেয়। ৮০টির বেশি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত হিথ্রো হঠাৎ বন্ধ হয়ে পড়ায় বৈশ্বিক উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

শুক্রবার এক দিনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রীদের কেউ কেউ বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। কেউবা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও সঠিক তথ্য পাননি।

এমন অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ে ব্রিটিশ বিমান পরিবহন খাত বেশ বড় ধাক্কা খেল। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হিথ্রোর এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত স্থাপনায় সামান্য একটি বিপর্যয় কিভাবে পুরো বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।