ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

জেনে নিন: রোজা পালনে অসুস্থ ও অক্ষমদের জন্য ইসলামে বিশেষ ছাড় ও ফিদিয়ার বিধান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের জন্য ফরজ। তবে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার কারণে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যায়, অথবা কেউ যদি সফরে থাকেন, তাঁদের জন্য ইসলামে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে যাঁরা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অপারগ বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন এবং ভবিষ্যতে রোজা রাখার সম্ভাবনাও নেই, তাঁদের জন্য ফিদিয়ার বিধান রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘যারা অসুস্থ থাকবে বা সফরে থাকবে, তারা অন্য সময়ে এর সমপরিমাণ রোজা পূর্ণ করবে। আর যারা রোজা রাখতে সক্ষম নয়, তারা প্রতিটি রোজার পরিবর্তে একজন অভাবীকে খাদ্য দান করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪) অর্থাৎ যাঁরা সাময়িক অসুস্থ, তাঁরা পরে কাজা আদায় করবেন, কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা ফিদিয়া প্রদান করবেন।

সফরে থাকা অবস্থায়ও রোজা রাখা উত্তম, তবে যদি কষ্ট হয়, তাহলে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার রমজান মাসে মক্কার পথে রোজা রেখেছিলেন, কিন্তু কাদিদ নামক স্থানে পৌঁছে তা ভেঙে ফেলেন। পরে সাহাবিরাও তাঁর অনুসরণ করেন। (বুখারি: ১৮২০)

ফিদিয়া হলো রোজার পরিবর্তে দান। একজন ব্যক্তি যদি রোজা রাখতে অক্ষম হন এবং ভবিষ্যতেও তা কাজা করার সম্ভাবনা না থাকে, তবে প্রতিটি রোজার জন্য একজন গরিবকে খাদ্য দান করতে হবে বা এর সমমূল্যের অর্থ দিতে হবে। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, এক রোজার ফিদিয়ার পরিমাণ এক সা’ খাদ্য, যা প্রায় সাড়ে তিন কেজির সমপরিমাণ। এটি গম, খেজুর, যব, কিশমিশ বা অন্য কোনো উপযোগী খাদ্যদ্রব্য হতে পারে।

একজন ব্যক্তি একাধিক দিনের ফিদিয়া একবারে দিতে পারেন অথবা একাধিক ব্যক্তির ফিদিয়া একজনের কাছে দিতে পারেন। ফিদিয়া যাঁরা গ্রহণ করতে পারেন, তাঁরা জাকাত গ্রহণের উপযোগী ব্যক্তিদের মতোই, অর্থাৎ অভাবী ও অসহায় মানুষ।

তবে কোনো ব্যক্তি যদি ফিদিয়া দেওয়ার পরও পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং রোজা রাখার ক্ষমতা ফিরে পান, তাহলে তাঁকে সেই রোজাগুলো কাজা করে নিতে হবে। কারণ ফিদিয়া রোজার স্থলাভিষিক্ত নয়, বরং এটি চূড়ান্ত অক্ষমতার ক্ষেত্রে অনুমোদিত একটি বিকল্প ব্যবস্থা।

ফিদিয়া প্রদান করার পদ্ধতি যেকোনো খাদ্যদ্রব্য বা নগদ অর্থের মাধ্যমে হতে পারে। তবে যে উপায়ে দানগ্রহীতার বেশি উপকার হয়, সেটিই সর্বোত্তম।

নিউজটি শেয়ার করুন

জেনে নিন: রোজা পালনে অসুস্থ ও অক্ষমদের জন্য ইসলামে বিশেষ ছাড় ও ফিদিয়ার বিধান

আপডেট সময় ০৩:৩৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের জন্য ফরজ। তবে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার কারণে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যায়, অথবা কেউ যদি সফরে থাকেন, তাঁদের জন্য ইসলামে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে যাঁরা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অপারগ বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন এবং ভবিষ্যতে রোজা রাখার সম্ভাবনাও নেই, তাঁদের জন্য ফিদিয়ার বিধান রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘যারা অসুস্থ থাকবে বা সফরে থাকবে, তারা অন্য সময়ে এর সমপরিমাণ রোজা পূর্ণ করবে। আর যারা রোজা রাখতে সক্ষম নয়, তারা প্রতিটি রোজার পরিবর্তে একজন অভাবীকে খাদ্য দান করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪) অর্থাৎ যাঁরা সাময়িক অসুস্থ, তাঁরা পরে কাজা আদায় করবেন, কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা ফিদিয়া প্রদান করবেন।

সফরে থাকা অবস্থায়ও রোজা রাখা উত্তম, তবে যদি কষ্ট হয়, তাহলে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার রমজান মাসে মক্কার পথে রোজা রেখেছিলেন, কিন্তু কাদিদ নামক স্থানে পৌঁছে তা ভেঙে ফেলেন। পরে সাহাবিরাও তাঁর অনুসরণ করেন। (বুখারি: ১৮২০)

ফিদিয়া হলো রোজার পরিবর্তে দান। একজন ব্যক্তি যদি রোজা রাখতে অক্ষম হন এবং ভবিষ্যতেও তা কাজা করার সম্ভাবনা না থাকে, তবে প্রতিটি রোজার জন্য একজন গরিবকে খাদ্য দান করতে হবে বা এর সমমূল্যের অর্থ দিতে হবে। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, এক রোজার ফিদিয়ার পরিমাণ এক সা’ খাদ্য, যা প্রায় সাড়ে তিন কেজির সমপরিমাণ। এটি গম, খেজুর, যব, কিশমিশ বা অন্য কোনো উপযোগী খাদ্যদ্রব্য হতে পারে।

একজন ব্যক্তি একাধিক দিনের ফিদিয়া একবারে দিতে পারেন অথবা একাধিক ব্যক্তির ফিদিয়া একজনের কাছে দিতে পারেন। ফিদিয়া যাঁরা গ্রহণ করতে পারেন, তাঁরা জাকাত গ্রহণের উপযোগী ব্যক্তিদের মতোই, অর্থাৎ অভাবী ও অসহায় মানুষ।

তবে কোনো ব্যক্তি যদি ফিদিয়া দেওয়ার পরও পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং রোজা রাখার ক্ষমতা ফিরে পান, তাহলে তাঁকে সেই রোজাগুলো কাজা করে নিতে হবে। কারণ ফিদিয়া রোজার স্থলাভিষিক্ত নয়, বরং এটি চূড়ান্ত অক্ষমতার ক্ষেত্রে অনুমোদিত একটি বিকল্প ব্যবস্থা।

ফিদিয়া প্রদান করার পদ্ধতি যেকোনো খাদ্যদ্রব্য বা নগদ অর্থের মাধ্যমে হতে পারে। তবে যে উপায়ে দানগ্রহীতার বেশি উপকার হয়, সেটিই সর্বোত্তম।