ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মানিকগঞ্জে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড মাদারগঞ্জে কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চাচা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে ‘নৌকা’ বাদ দিয়ে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করার দাবি এনসিপির মেঘনা তেতুলীয়ার ভাঙ্গনে দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ জবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়াল সরকার গাজার পানির লাইনে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৬ শিশুসহ নিহত ১০ বাগেরহাটে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক সুন্দরবনে টহল দলের বনকর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা, আহত ২ পীরগঞ্জে বজ্রঘাতে কৃষকের মৃত্যু

ফেসবুকে মন্তব্য ঘিরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 49

ছবি: সংগৃহীত

 

ফেসবুকে দেওয়া একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত সমর্থক মো. তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সে সময় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা ব্যাপক লেখালেখি করেন। সম্প্রতি সেই পুরনো একটি ফেসবুক পোস্টে যুবদলের কর্মী হৃদয় মন্তব্য করেন, ‘ধর্ষকের তো এখনও বিচার হলো না।’ এই মন্তব্যের জের ধরে গত ১৬ মার্চ লক্ষীপুর বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হৃদয়কে মারধর করেন।

এ ঘটনার স্থানীয় সমাধানের উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সালিশি সভার আয়োজন করা হলেও সভা শুরুর আগেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা একে অপরের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি গুরুতর হলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ অভিযোগ করেন, ‘সালিশের নামে জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়।’

তবে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপির লোকজনই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, জামায়াতের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেসবুকে মন্তব্য ঘিরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট সময় ০২:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ফেসবুকে দেওয়া একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত সমর্থক মো. তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সে সময় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা ব্যাপক লেখালেখি করেন। সম্প্রতি সেই পুরনো একটি ফেসবুক পোস্টে যুবদলের কর্মী হৃদয় মন্তব্য করেন, ‘ধর্ষকের তো এখনও বিচার হলো না।’ এই মন্তব্যের জের ধরে গত ১৬ মার্চ লক্ষীপুর বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হৃদয়কে মারধর করেন।

এ ঘটনার স্থানীয় সমাধানের উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সালিশি সভার আয়োজন করা হলেও সভা শুরুর আগেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা একে অপরের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি গুরুতর হলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ অভিযোগ করেন, ‘সালিশের নামে জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়।’

তবে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপির লোকজনই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, জামায়াতের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’