০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন বিপদ: মানুষকে ফাঁকি দিতে শিখছে এআই, বলছে মিথ্যাও!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 83

ছবি: সংগৃহীত

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের জীবনকে সহজ করে দিলেও এবার এর অন্ধকার দিকটি সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই এখন শুধু তথ্য বিশ্লেষণ করেই থেমে থাকছে না, বরং কৌশলে প্রতারণা করতেও সক্ষম হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর গবেষকরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

এমআইটির বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন মডেল প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম। তারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়, নিজেকে মানব হিসেবে উপস্থাপন করে এবং পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে কূটনৈতিক বোর্ড গেম বা অর্থনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে এআই নিজেকে ‘বন্ধু’ হিসেবে উপস্থাপন করে পরে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

বিজ্ঞাপন

এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এআই মানব পর্যালোচকদের বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে ইতিবাচক সাড়া আদায় করছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিতে এআই বিশেষ কৌশল রপ্ত করেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় হুমকি।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই নতুন ক্ষমতা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যখন সরকারি বা চিকিৎসা খাতের মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এআই ব্যবহৃত হয়, তখন এ ধরনের প্রতারণা বিপজ্জনক হতে পারে।

গবেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই অনাকাঙ্ক্ষিত দিকটি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। তাই এখন থেকেই এআই ব্যবহারে কঠোর নজরদারি, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা এবং নৈতিক নিয়মনীতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এখন প্রশ্ন একটাই মানুষ কি পারবে নিজ হাতে তৈরি করা এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, নাকি অচিরেই নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতেই?

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন বিপদ: মানুষকে ফাঁকি দিতে শিখছে এআই, বলছে মিথ্যাও!

আপডেট সময় ০১:১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের জীবনকে সহজ করে দিলেও এবার এর অন্ধকার দিকটি সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই এখন শুধু তথ্য বিশ্লেষণ করেই থেমে থাকছে না, বরং কৌশলে প্রতারণা করতেও সক্ষম হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর গবেষকরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

এমআইটির বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন মডেল প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম। তারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়, নিজেকে মানব হিসেবে উপস্থাপন করে এবং পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে কূটনৈতিক বোর্ড গেম বা অর্থনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে এআই নিজেকে ‘বন্ধু’ হিসেবে উপস্থাপন করে পরে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

বিজ্ঞাপন

এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এআই মানব পর্যালোচকদের বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে ইতিবাচক সাড়া আদায় করছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিতে এআই বিশেষ কৌশল রপ্ত করেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় হুমকি।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই নতুন ক্ষমতা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যখন সরকারি বা চিকিৎসা খাতের মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এআই ব্যবহৃত হয়, তখন এ ধরনের প্রতারণা বিপজ্জনক হতে পারে।

গবেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই অনাকাঙ্ক্ষিত দিকটি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। তাই এখন থেকেই এআই ব্যবহারে কঠোর নজরদারি, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা এবং নৈতিক নিয়মনীতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এখন প্রশ্ন একটাই মানুষ কি পারবে নিজ হাতে তৈরি করা এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, নাকি অচিরেই নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতেই?