যারা জামায়াতে থেকে বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন, তারা রাজনীতিতে অংশগ্রহণের অধিকার রাখেন: মাহফুজ আলম।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মন্তব্য করেছেন যে, জামায়াতের বাংলাদেশপন্থী সদস্যরা রাজনীতি করার অধিকার রাখেন। তবে, তিনি জামায়াতের নতুন প্রজন্মের মধ্যে বেশ কিছু ব্যতিক্রমকে বাদ দিয়ে বলেন, পাকিস্তানপন্থী মনোভাব এখন আর জামায়াতের অধিকাংশ সদস্যের মধ্যে নেই।
তিনি ফেসবুকে “শাহবাগে ফ্যাসিবাদ ও ‘শাহবাগী’দের কাফফারা” শীর্ষক একটি পোস্টে লিখেছেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল, তবে বর্তমানে জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার হরণের বিপক্ষে তিনি অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর মতে, জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে তাদের প্রোপাগান্ডা এবং ভুল ধারণা ভাঙতে হবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে সত্য তুলে ধরতে হবে।
শাহবাগ আন্দোলন প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম জানান, সেখানে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ছাত্র-তরুণই যুদ্ধাপরাধী বিচার দাবি করেছিল, এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ইসলামী বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করছিল না। তবে, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি অংশের মুজিববাদী দৃষ্টিভঙ্গি এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে এক দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যার ফলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা নিপীড়িত হয়েছে।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, শাহবাগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত ও কাফফারা দাবি করা হয়েছে, এবং তারা শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, “শাপলা চত্বরের আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের অনেকেই জামায়াতের কর্মসূচি ও নেতৃত্বের বিরোধী ছিলেন, এবং জামায়াত তাদের প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করতে পেরেছিল।”
উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী তকমা দেওয়ার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং রাজনৈতিক বিভাজন দূর করে বৃহত্তর সংহতির পথ তৈরি করতে হবে। তিনি জানান, আগের শাহবাগীরা যারা এখন গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ক্ষতিকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়।
এভাবে, মাহফুজ আলম তার পোস্টে রাজনৈতিক সমঝোতা ও ভিন্নমতের সম্মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তন এবং সংহতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।