প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক পাবেন ২য় শ্রেণির মর্যাদা: আপিল বিভাগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি, ১০ম গ্রেডে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের বিষয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এই বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আপিল খারিজ করে রায় দেন। হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের ওই রায় কার্যকর না হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।
এরপর ২০২২ সালের ২৭ জুন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সরকারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।
এখন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিভিল রিভিউ পিটিশন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন, ফলে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়ের বাস্তবায়ন আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না।
এটি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য একটি বড় জয়, যা তাদের মর্যাদা ও বেতন কাঠামোকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবে। এই রায়ের মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা খাতের প্রধান শিক্ষকগণের প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এভাবে, প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক ও প্রশাসনিক অবস্থান আরো দৃঢ় হবে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।