কোস্টগার্ডের অভিযান: সুন্দরবন থেকে ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ হরিণ শিকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, এবং তাদের সাফল্যে আরও একটি বড় শিকারি চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। বৃহস্পতিবার, কোস্টগার্ড পাঁচ শিকারিকে আটক করেছে, যারা সুন্দরবনের মরা লক্ষ্মী খাল এলাকায় হরিণ শিকারের চেষ্টা করছিল। এদের কাছে ২৫ কেজি হরিণের মাংস ও ৮০টি শিকারের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব শিকারি খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
গতকাল, কোস্টগার্ডের সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করেন। খুলনার নলিয়ান কোস্টগার্ডের সদস্যরা সুন্দরবনের শিবসা নদীর সংলগ্ন এলাকায় একটি নৌকা তল্লাশি করে, যেখানে হরিণের মাংস ও ফাঁদ পাওয়া যায়। তারা দ্রুত ওই পাঁচজনকে আটক করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
বন বিভাগ জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ থেকে প্রায় ৪১১ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে। এতে মোট ৩০টি মামলা হয়েছে এবং ৭২ জন অভিযুক্ত হয়েছেন। শুধু গত ৬ মার্চ, কয়রা থানা পুলিশ ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সুন্দরবনের শিকারি চক্রের সদস্যরা সাধারণত জেলেদের ছদ্মবেশে বনে ঢুকে একধরনের দড়ির ফাঁদ স্থাপন করে, যাতে হরিণ আটকা পড়ে। এরপর, তারা বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হরিণ জবাই করে, তার মাংস স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিকারি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তারা স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর কাজও করছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের সচেতন করার পাশাপাশি ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। শিকার ও পাচার ঠেকাতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চলমান এই অভিযানের মাধ্যমে সুন্দরবনের বন্য প্রাণী রক্ষায় আশাবাদী কর্মকর্তারা।