ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ট্রবেরি চাষে লাভের পথ: জয়পুরহাটে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

জয়পুরহাটের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষে অভূতপূর্ব সফলতা পাচ্ছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় চাষের পরিমাণ বেড়েছে। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বিদেশি এই ফলটি এখন জেলা ছাড়িয়ে রাজধানী ও বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, তবে কিছু জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করলেও কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ চাচ্ছেন তারা। যদিও জেলা কৃষি অফিস বলছে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর, চান্দা, কালীবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামে স্ট্রবেরি চাষ করছেন। এসব গ্রাম এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘স্ট্রবেরি ভিলেজ’ হিসেবে। দ্রুত উৎপাদন এবং লাভের কারণে চাষের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। আসতে শুরু করেছে ফলন, এবং কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।

একজন কৃষক বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্ট্রবেরি বিক্রি হবে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায়। খুচরা বাজারে দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, আর পাইকারি বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।

কালীবাড়ী গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ধান ও আলুর তুলনায় স্ট্রবেরি চাষে অনেক বেশি লাভ। এই গ্রামে অনেক মানুষ স্ট্রবেরি চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্ট্রবেরি সংগ্রহ করি এবং বিকেল বেলায় ব্যবসায়ীরা আসেন, পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যান।’

অপর কৃষক আলী আকবর জানান, ‘৮ বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ করছি। এবার দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং ফলন ভালো হলে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হয়।’

এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিরাপদভাবে উৎপাদন এবং কীটনাশক ব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, স্ট্রবেরি চাষের এই সফলতা আরও বাড়ুক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

স্ট্রবেরি চাষে লাভের পথ: জয়পুরহাটে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন

আপডেট সময় ০১:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

জয়পুরহাটের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষে অভূতপূর্ব সফলতা পাচ্ছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় চাষের পরিমাণ বেড়েছে। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বিদেশি এই ফলটি এখন জেলা ছাড়িয়ে রাজধানী ও বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, তবে কিছু জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করলেও কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ চাচ্ছেন তারা। যদিও জেলা কৃষি অফিস বলছে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর, চান্দা, কালীবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামে স্ট্রবেরি চাষ করছেন। এসব গ্রাম এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘স্ট্রবেরি ভিলেজ’ হিসেবে। দ্রুত উৎপাদন এবং লাভের কারণে চাষের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। আসতে শুরু করেছে ফলন, এবং কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।

একজন কৃষক বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্ট্রবেরি বিক্রি হবে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায়। খুচরা বাজারে দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, আর পাইকারি বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।

কালীবাড়ী গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ধান ও আলুর তুলনায় স্ট্রবেরি চাষে অনেক বেশি লাভ। এই গ্রামে অনেক মানুষ স্ট্রবেরি চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্ট্রবেরি সংগ্রহ করি এবং বিকেল বেলায় ব্যবসায়ীরা আসেন, পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যান।’

অপর কৃষক আলী আকবর জানান, ‘৮ বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ করছি। এবার দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং ফলন ভালো হলে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হয়।’

এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিরাপদভাবে উৎপাদন এবং কীটনাশক ব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, স্ট্রবেরি চাষের এই সফলতা আরও বাড়ুক।’