ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ সংকট: ইসরায়েলের পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়ার ফলে, ফিলিস্তিনিরা এক নতুন সংকটে পড়েছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায়, এখানকার অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে খাবারের দাম হু হু করে বাড়ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার বাসিন্দারা পানীয় জল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চাপ তৈরি করতে এবং তাদের শক্তি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি তেলের সরবরাহে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে, যা গাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১৭ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, গাজার ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা, যারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে, আলোচনা বা আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের সৃষ্টি করছে।

গাজা বেকারি ইউনিয়নের প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি জানান, গ্যাসের অভাবে গাজায় চলমান ২২টি বেকারির মধ্যে ছয়টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট বেকারিগুলোও সংকটে পড়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তারা যদি ডিজেল বা আটা না পায়, তাহলে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি গাজার সীমান্ত খোলা না হয় এবং পণ্য প্রবাহ শুরু না হয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তিনি জানান, ২২টি বেকারিও গাজার বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না, এখন বেকারি বন্ধ হওয়ার কারণে রুটির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংকট মোকাবিলা করতে গাজার জনগণের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ সংকট: ইসরায়েলের পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়ার ফলে, ফিলিস্তিনিরা এক নতুন সংকটে পড়েছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায়, এখানকার অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে খাবারের দাম হু হু করে বাড়ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার বাসিন্দারা পানীয় জল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চাপ তৈরি করতে এবং তাদের শক্তি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি তেলের সরবরাহে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে, যা গাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১৭ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, গাজার ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা, যারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে, আলোচনা বা আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের সৃষ্টি করছে।

গাজা বেকারি ইউনিয়নের প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি জানান, গ্যাসের অভাবে গাজায় চলমান ২২টি বেকারির মধ্যে ছয়টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট বেকারিগুলোও সংকটে পড়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তারা যদি ডিজেল বা আটা না পায়, তাহলে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি গাজার সীমান্ত খোলা না হয় এবং পণ্য প্রবাহ শুরু না হয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তিনি জানান, ২২টি বেকারিও গাজার বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না, এখন বেকারি বন্ধ হওয়ার কারণে রুটির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংকট মোকাবিলা করতে গাজার জনগণের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।