ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী নির্বাচন: সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রশাসন নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন

স্ট্রবেরি চাষে মাসুমের সাফল্য

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

গাছে গাছে সাদা ফুলের শোভা আর নিচে ঝুলছে সবুজ কাচা ও পাকা লাল টুকটুকে স্ট্রবেরি। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা এই স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের চককাঞ্চন গ্রামে। উদ্যোক্তা যুবক মাসুম বিল্লাহ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে স্ট্রবেরির চাষ শুরু করেছেন।

মাসুম বিল্লাহ স্ট্রবেরি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তাঁর সফলতা দেখে অনেক কৃষক স্ট্রবেরি চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। কৃষি বিভাগও এই বিদেশি ফল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুম বিল্লাহ জয়পুর হাট থেকে ৪০০ স্ট্রবেরি চারা কিনে জমিতে রোপণ করেন। চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। বিদেশি জাতের এই ফল চাষ করে তিনি এলাকায় বেশ আলোচিত হয়েছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি স্ট্রবেরির দাম প্রায় ৪০০ টাকা।

তরুণ উদ্যোক্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমি আধুনিক পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। এই স্ট্রবেরি আবাদ করতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, এখান থেকে ৭০-৭৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে। অল্প পুঁজি ও শ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে স্ট্রবেরি চাষ করব।”

তিনি আরও জানান, অক্টোবরের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রবেরির চারা রোপণ করা যায় এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ ও বিক্রি করা সম্ভব।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “স্ট্রবেরি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি বিদেশি ফল। অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা হওয়ায় এটি চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাসুম বিল্লাহের মতো সফল কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল স্ট্রবেরি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগ তাদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
৫১৬ বার পড়া হয়েছে

স্ট্রবেরি চাষে মাসুমের সাফল্য

আপডেট সময় ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

 

গাছে গাছে সাদা ফুলের শোভা আর নিচে ঝুলছে সবুজ কাচা ও পাকা লাল টুকটুকে স্ট্রবেরি। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা এই স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের চককাঞ্চন গ্রামে। উদ্যোক্তা যুবক মাসুম বিল্লাহ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে স্ট্রবেরির চাষ শুরু করেছেন।

মাসুম বিল্লাহ স্ট্রবেরি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তাঁর সফলতা দেখে অনেক কৃষক স্ট্রবেরি চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। কৃষি বিভাগও এই বিদেশি ফল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুম বিল্লাহ জয়পুর হাট থেকে ৪০০ স্ট্রবেরি চারা কিনে জমিতে রোপণ করেন। চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। বিদেশি জাতের এই ফল চাষ করে তিনি এলাকায় বেশ আলোচিত হয়েছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি স্ট্রবেরির দাম প্রায় ৪০০ টাকা।

তরুণ উদ্যোক্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমি আধুনিক পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। এই স্ট্রবেরি আবাদ করতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, এখান থেকে ৭০-৭৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে। অল্প পুঁজি ও শ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে স্ট্রবেরি চাষ করব।”

তিনি আরও জানান, অক্টোবরের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রবেরির চারা রোপণ করা যায় এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ ও বিক্রি করা সম্ভব।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “স্ট্রবেরি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি বিদেশি ফল। অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা হওয়ায় এটি চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাসুম বিল্লাহের মতো সফল কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল স্ট্রবেরি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগ তাদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করবে।”