ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রধান বিবিসিকে উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কিনা, এটি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। আমি তাদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশনই নির্ধারণ করবে।”

ড. ইউনূস আরও জানান, যদি নির্বাচনী সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন হয়, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ডিসেম্বরে। তবে যদি সংস্কারের প্রয়োজন আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে নির্বাচনের জন্য আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান সরকারের জন্য অর্থনীতি, শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখাকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন। তার মতে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা গত বছরের তুলনায় স্থিতিশীল এবং শৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রয়েছে।

তবে, তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার সহিংসতাকে ন্যায়সংগত হিসেবে উপস্থাপন করছে।

বিবিসির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ড. ইউনূস তার সরকারের অবস্থান সমর্থন করে বলেন, “আদালত এবং আইন রয়েছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। অভিযোগ করতে হলে আপনাকে থানায় যেতে হবে, কেবল রিপোর্টারদের কাছে অভিযোগ করে বসে থাকা নয়।”

এভাবে, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয় নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রধান বিবিসিকে উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

আপডেট সময় ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কিনা, এটি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। আমি তাদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশনই নির্ধারণ করবে।”

ড. ইউনূস আরও জানান, যদি নির্বাচনী সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন হয়, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ডিসেম্বরে। তবে যদি সংস্কারের প্রয়োজন আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে নির্বাচনের জন্য আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান সরকারের জন্য অর্থনীতি, শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখাকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন। তার মতে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা গত বছরের তুলনায় স্থিতিশীল এবং শৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রয়েছে।

তবে, তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার সহিংসতাকে ন্যায়সংগত হিসেবে উপস্থাপন করছে।

বিবিসির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ড. ইউনূস তার সরকারের অবস্থান সমর্থন করে বলেন, “আদালত এবং আইন রয়েছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। অভিযোগ করতে হলে আপনাকে থানায় যেতে হবে, কেবল রিপোর্টারদের কাছে অভিযোগ করে বসে থাকা নয়।”

এভাবে, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয় নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে।