ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

ট্রাম্পের অভিযোগ: বাইডেনের আমলে ২ কোটির বেশি অবৈধ অভিবাসীর প্রবেশ, বাইডেন সরকারের সমালোচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে অনেককে ‘বিপজ্জনক অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাইডেন প্রশাসন আমেরিকান জনগণের নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলেছে।’’ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কংগ্রেসে ভাষণ দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ভাষণের মধ্যে গুরুত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োজিত ‘ইউএস বর্ডার প্যাট্রল’ এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, বাইডেন প্রশাসন আসার পর প্রায় ৭০ লাখ অভিবাসীকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও এই পরিসংখ্যানের মধ্যে একাধিকবার সীমান্ত পার হওয়া অভিবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া, ট্রাম্প তাঁর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত নারীদের উদাহরণ তুলে ধরেন, যাদের মধ্যে লেকেন রিলে ও জোসেলিন নুঙ্গারেও ছিলেন। তিনি এসব উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা স্থানীয়দের তুলনায় অপরাধ বেশি করে না, তবে ট্রাম্পের দাবি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত, ‘আইসিই’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অপরাধে যুক্ত না থাকা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও আটক হওয়া সংখ্যা ২২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সংকল্প প্রকাশ করেছে।

ট্রাম্প তাঁর ভাষণে এও প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি সরকারের সেন্সরশিপের অবসান ঘটাবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাক্‌স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং তার প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আলোচনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের অভিযোগ: বাইডেনের আমলে ২ কোটির বেশি অবৈধ অভিবাসীর প্রবেশ, বাইডেন সরকারের সমালোচনা

আপডেট সময় ০২:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে অনেককে ‘বিপজ্জনক অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাইডেন প্রশাসন আমেরিকান জনগণের নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলেছে।’’ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কংগ্রেসে ভাষণ দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ভাষণের মধ্যে গুরুত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োজিত ‘ইউএস বর্ডার প্যাট্রল’ এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, বাইডেন প্রশাসন আসার পর প্রায় ৭০ লাখ অভিবাসীকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও এই পরিসংখ্যানের মধ্যে একাধিকবার সীমান্ত পার হওয়া অভিবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া, ট্রাম্প তাঁর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত নারীদের উদাহরণ তুলে ধরেন, যাদের মধ্যে লেকেন রিলে ও জোসেলিন নুঙ্গারেও ছিলেন। তিনি এসব উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা স্থানীয়দের তুলনায় অপরাধ বেশি করে না, তবে ট্রাম্পের দাবি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত, ‘আইসিই’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অপরাধে যুক্ত না থাকা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও আটক হওয়া সংখ্যা ২২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সংকল্প প্রকাশ করেছে।

ট্রাম্প তাঁর ভাষণে এও প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি সরকারের সেন্সরশিপের অবসান ঘটাবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাক্‌স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং তার প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আলোচনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।