মেক্সিকোতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত: “বাংলাদেশ বিশ্ব গণমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত”, বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

- আপডেট সময় ১০:৩৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / ৫২৭ বার পড়া হয়েছে
মেক্সিকো সিটিতে এক অনাড়ম্বর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্বের গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, এক সময় পেশাগত কারণে বাংলাদেশ সফর বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য অনেকটাই সীমিত ছিল, তবে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। সরকারপ্রধান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশে এসে প্রকৃত পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ হাউসে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন বিবিসির মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও কিউবাবিষয়ক প্রতিবেদক এবং ‘Populista: The Rise of Latin America’s 21st’ বইয়ের লেখক উইল গ্র্যান্ট, গার্ডিয়ানের সাংবাদিক টমাস গ্রাহাম, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সিনিয়র সাংবাদিক হোসে ডে কর্দোভা, দ্য ইকোনমিস্টের লেখক মি. হ্যারিস ডাল হলেন, ব্লুমবার্গ নিউজের ব্যুরোপ্রধান ক্যারোলিনা মিলানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
মতবিনিময়কালে বিদেশি সাংবাদিকরা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণে তাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ আজ নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাম্প্রতিক রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দমন-পীড়নে শেখ হাসিনার সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই সফল হয়েছে। দীর্ঘ একনায়কতন্ত্রের অবসানে রাজনৈতিক দলগুলো নিরলস সংগ্রাম করেছে। তিনি জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুতে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।