ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার, স্বাস্থ্যসেবায় নেওয়া হবে নতুন উদ্যোগ: রিজওয়ানা বিশ্ব বাণিজ্য পথের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নতুন কৌশল ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে উত্তেজনা, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন মুখ, শপথ নিচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার ঈদে ৩ নায়কের বক্স অফিসের লড়াই: শাকিব, নিশো ও সিয়ামের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অভিযুক্ত তাহাব্বুর রানা ভারতে প্রত্যর্পণের পথে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি পতেঙ্গা রিং রোডে পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ১২, মামলা দায়েরঃ রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ঊর্ধ্বগতি, বৈদেশিক লেনদেনে নতুন গতি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি এখন ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে। চলতি হিসাবের লেনদেন উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে, এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল বিনিময় হার এই উন্নতির প্রধান কারক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির কমতিকে কেন্দ্র করে সরকারের সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন তারা।

বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টের মাধ্যমে একটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। গত জুলাই-ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরে সার্বিক ঘাটতি প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩৮৪ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত হওয়ায় অর্থনীতি ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি ভালো সঙ্কেত।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী জানান, রফতানি এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি বিলাসী পণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নতি করছে।

তবে, একটি আশঙ্কা রয়েছে, যা হচ্ছে মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং পণ্য আমদানির ব্যয় কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব। জুলাই-ডিসেম্বরে আমদানি ব্যয় প্রায় ১৩.৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি কিছুটা কমলেও, এটির কারণে বিনিয়োগের পরিস্থিতি সংকটে পড়েছে।

ব্রাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মাইনুদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতি এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে এবং ব্যাংকগুলোও ঋণ বিতরণে সতর্ক হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগ বাড়ানো না গেলে, আমদানি কমে যাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নত না হয়, তবে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য স্থায়ী সুফল বয়ে আনবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ঊর্ধ্বগতি, বৈদেশিক লেনদেনে নতুন গতি

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি এখন ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে। চলতি হিসাবের লেনদেন উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে, এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল বিনিময় হার এই উন্নতির প্রধান কারক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির কমতিকে কেন্দ্র করে সরকারের সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন তারা।

বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টের মাধ্যমে একটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। গত জুলাই-ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরে সার্বিক ঘাটতি প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩৮৪ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত হওয়ায় অর্থনীতি ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি ভালো সঙ্কেত।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী জানান, রফতানি এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি বিলাসী পণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নতি করছে।

তবে, একটি আশঙ্কা রয়েছে, যা হচ্ছে মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং পণ্য আমদানির ব্যয় কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব। জুলাই-ডিসেম্বরে আমদানি ব্যয় প্রায় ১৩.৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি কিছুটা কমলেও, এটির কারণে বিনিয়োগের পরিস্থিতি সংকটে পড়েছে।

ব্রাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মাইনুদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতি এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে এবং ব্যাংকগুলোও ঋণ বিতরণে সতর্ক হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগ বাড়ানো না গেলে, আমদানি কমে যাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নত না হয়, তবে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য স্থায়ী সুফল বয়ে আনবে না।