বিতর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর দেওয়া হবে না স্বাধীনতা পুরস্কার: আইন উপদেষ্টা
এবার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান হবে দলের বাইরের চিন্তা ও গোষ্ঠীগত সুবিধা থেকে মুক্ত হয়ে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেয়া হবে না। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আজ সকালে সচিবালয়ে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এর আগে র্যাবকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার এমন কিছু ঘটবে না। সরকার নিশ্চিত করেছে যে, পুরস্কারের সংখ্যা ১০টির কম হবে এবং সমাজে সত্যিই বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিরাই এই সম্মান পাবেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ সময় বলেন, ‘‘এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে তাদেরকে, যারা সমাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং যাদের কাজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।’’ তিনি আরও জানান, যারা আগে কোনো কারণে স্বাধীনতা পুরস্কার পাননি, কিন্তু যোগ্যতা ও মেধার দিক থেকে তারা ব্যতিক্রমী, তাদেরকেই এবার পুরস্কৃত করা হবে।
আজকের বৈঠকে প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে স্থান পেয়েছেন এমন ব্যক্তিত্বরা, যাদের জীবনের কাজ আমাদের সমাজের নানা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ও রাষ্ট্র গঠনে যারা অনন্য অবদান রেখেছেন, তারা এবার রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার পাবেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ সময় আরও উল্লেখ করেছেন, ‘‘এবার পুরস্কার প্রদান নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ থাকবে না।’’ সরকারের এমন নীতির ফলে, যে ধরনের সমালোচনার মুখে এই পুরস্কার আগের বছরগুলোতে পড়েছিল, তা এবার নিরসিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একুশে পদকের মতো স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েও এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে চলেছে।
এদিকে, শিগগিরই এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ। এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানজনক হবে, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।