০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

আজ জাতীয় ভোটার দিবস: নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, ভোটার দিবস কি বদলাতে পারবে চিত্র?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 78

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’। যদিও ভোটার হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলেও, ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা বিগত দেড় দশকে নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটার দিবস এমন এক সময় পালিত হচ্ছে, যখন দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ও চ্যালেঞ্জ নির্বাচনব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচন পর্যন্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও ছিল একতরফা, যেখানে বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেবল সরকার পরিবর্তন যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।

নির্বাচনের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ভূমিকা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়লেও, পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি, যা নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক।

নির্বাচন কমিশনের নতুন নেতৃত্ব এখনো কোনো নির্বাচন পরিচালনা করেনি। ফলে তাদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা এখনো পরীক্ষিত নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভোটারদের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে করণীয় ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখতে নির্বাচন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা জরুরি। পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ, নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা বাড়ানো, টাকার খেলা বন্ধ করা এবং প্রার্থীদের হলফনামা যাচাইয়ের মতো সংস্কারগুলো কার্যকর হলে জনগণের আস্থা ফিরে আসতে পারে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র একটি নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন কমিশনই নিশ্চিত করতে পারে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তাই জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের পাশাপাশি, ভোটাধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ জাতীয় ভোটার দিবস: নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, ভোটার দিবস কি বদলাতে পারবে চিত্র?

আপডেট সময় ১০:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’। যদিও ভোটার হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলেও, ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা বিগত দেড় দশকে নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটার দিবস এমন এক সময় পালিত হচ্ছে, যখন দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ও চ্যালেঞ্জ নির্বাচনব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচন পর্যন্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও ছিল একতরফা, যেখানে বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেবল সরকার পরিবর্তন যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।

নির্বাচনের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ভূমিকা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়লেও, পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি, যা নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক।

নির্বাচন কমিশনের নতুন নেতৃত্ব এখনো কোনো নির্বাচন পরিচালনা করেনি। ফলে তাদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা এখনো পরীক্ষিত নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভোটারদের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে করণীয় ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখতে নির্বাচন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা জরুরি। পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ, নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা বাড়ানো, টাকার খেলা বন্ধ করা এবং প্রার্থীদের হলফনামা যাচাইয়ের মতো সংস্কারগুলো কার্যকর হলে জনগণের আস্থা ফিরে আসতে পারে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র একটি নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন কমিশনই নিশ্চিত করতে পারে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তাই জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের পাশাপাশি, ভোটাধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।