ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিপক্ষ কোচের ঘাড় ধরে মেসি ও সুয়ারেজের জরিমানা, তবুও দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোতে মায়ামি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

এপ্রিলের ২৩ তারিখে নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে মাঠে একসঙ্গে গোল করে ইন্টার মায়ামির দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ দলকে জয়ী করেছেন বহুবার। তবে এবার একই ম্যাচে একই ধরনের ভুলের জন্য জরিমানা গুনতে হলো তাদের। মেজর লিগ সকারের ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাদের বিরুদ্ধে অর্থ জরিমানা আরোপ করেছে, যদিও জরিমানার পরিমাণ জানানো হয়নি।

২৩ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ম্যাচে, মেসি এবং সুয়ারেজ দুজনেই শাস্তি পেয়েছেন। ম্যাচের শেষে মেসি, রেফারি আলেক্সিস দা সিলভার সঙ্গে তর্কে জড়ান, যার কারণে তিনি হলুদ কার্ড পান। এর পরেই, মেসি সহকারী কোচ মেহদি বালুশির সঙ্গে কিছু বলছিলেন। তখনই বালুশির দিকে ফিরে গিয়ে মেসি তার হাত শক্ত করে তার ঘাড়ে রাখেন, যা প্রতিপক্ষের মুখ, মাথা বা ঘাড়ে হাত দেওয়ার নিয়মের লঙ্ঘন।

অন্যদিকে, সুয়ারেজও নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ডিফেন্ডার বার্ক রিসারের ঘাড়ে হাত রাখেন, যা একই ধরনের শাস্তির যোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে।

আজ ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে কানসাস সিটির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগে দুর্দান্ত একটি জয় পেয়েছে মেসি ও সুয়ারেজের নেতৃত্বে মায়ামি। ৩-১ গোলের এই জয় নিশ্চিত করেছে তাদের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছানোর পথ। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি একটি অসাধারণ গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে নেন।

মেসির ওই গোলের পর সুয়ারেজও তার অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করে দলকে শক্তিশালী করে তুলেন। সুয়ারেজের ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার পর, তিনি মাটিতে পড়া বলটি হাফ-ভলিতে জোরালো শটে গোলের দিকে পাঠান। ক্যানসাস সিটির গোলরক্ষক জন পুলস্ক্যাম্পের প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে বলটি জালেই চলে যায়।

প্রথমার্ধে মায়ামির জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, কেননা মেসির পর আরও দুটি গোল করেন তাদেও আলেন্দে এবং লুইস সুয়ারেজ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নিউইয়র্কের মেমো রদ্রিগেজ একটি গোল শোধ করেন, তবুও মায়ামি তাদের সুবিধা ধরে রাখে। প্রথম লেগেও তারা ১-০ গোলে জিতেছিল, ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে তারা সাফল্যের সঙ্গে শেষ ষোলোতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

মেসি, সুয়ারেজ এবং তাদের সহকর্মীদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে এটি স্পষ্ট যে, মায়ামি কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেরা দলগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিপক্ষ কোচের ঘাড় ধরে মেসি ও সুয়ারেজের জরিমানা, তবুও দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোতে মায়ামি

আপডেট সময় ১২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

এপ্রিলের ২৩ তারিখে নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে মাঠে একসঙ্গে গোল করে ইন্টার মায়ামির দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ দলকে জয়ী করেছেন বহুবার। তবে এবার একই ম্যাচে একই ধরনের ভুলের জন্য জরিমানা গুনতে হলো তাদের। মেজর লিগ সকারের ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাদের বিরুদ্ধে অর্থ জরিমানা আরোপ করেছে, যদিও জরিমানার পরিমাণ জানানো হয়নি।

২৩ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ম্যাচে, মেসি এবং সুয়ারেজ দুজনেই শাস্তি পেয়েছেন। ম্যাচের শেষে মেসি, রেফারি আলেক্সিস দা সিলভার সঙ্গে তর্কে জড়ান, যার কারণে তিনি হলুদ কার্ড পান। এর পরেই, মেসি সহকারী কোচ মেহদি বালুশির সঙ্গে কিছু বলছিলেন। তখনই বালুশির দিকে ফিরে গিয়ে মেসি তার হাত শক্ত করে তার ঘাড়ে রাখেন, যা প্রতিপক্ষের মুখ, মাথা বা ঘাড়ে হাত দেওয়ার নিয়মের লঙ্ঘন।

অন্যদিকে, সুয়ারেজও নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ডিফেন্ডার বার্ক রিসারের ঘাড়ে হাত রাখেন, যা একই ধরনের শাস্তির যোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে।

আজ ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে কানসাস সিটির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগে দুর্দান্ত একটি জয় পেয়েছে মেসি ও সুয়ারেজের নেতৃত্বে মায়ামি। ৩-১ গোলের এই জয় নিশ্চিত করেছে তাদের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছানোর পথ। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি একটি অসাধারণ গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে নেন।

মেসির ওই গোলের পর সুয়ারেজও তার অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করে দলকে শক্তিশালী করে তুলেন। সুয়ারেজের ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার পর, তিনি মাটিতে পড়া বলটি হাফ-ভলিতে জোরালো শটে গোলের দিকে পাঠান। ক্যানসাস সিটির গোলরক্ষক জন পুলস্ক্যাম্পের প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে বলটি জালেই চলে যায়।

প্রথমার্ধে মায়ামির জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, কেননা মেসির পর আরও দুটি গোল করেন তাদেও আলেন্দে এবং লুইস সুয়ারেজ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নিউইয়র্কের মেমো রদ্রিগেজ একটি গোল শোধ করেন, তবুও মায়ামি তাদের সুবিধা ধরে রাখে। প্রথম লেগেও তারা ১-০ গোলে জিতেছিল, ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে তারা সাফল্যের সঙ্গে শেষ ষোলোতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

মেসি, সুয়ারেজ এবং তাদের সহকর্মীদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে এটি স্পষ্ট যে, মায়ামি কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেরা দলগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।