ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজান ২০২৫: সবার আগে রোজার ঘোষণা দিলো অস্ট্রেলিয়া “জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বোধনে বিএনপি নেতাদের সমর্থন” রমজানে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল পলাতক ৭০ কর্মকর্তাকে সিরিয়ার হাতে হস্তান্তর করেছে লেবানন ট্রাম্প চাননি জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর ফ্রান্সের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে আলোচনা সেনাবাহিনী প্রধানের উদ্যোগে সিনহা স্মৃতিফলকের উদ্বোধন রোহিতের ভুল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিণতি এখনো বাকি নতুন সংগঠন থেকে পদত্যাগ: গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের দুই সমন্বয়ক বিদায়

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রক্রিয়া শুরু: মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান লক্ষ্য, অগ্রাধিকার পাবে ৪ বিষয়

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের মূল লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এই চারটি বিষয়কে বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার আট লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি কমাতে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি

সরকার আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এজন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ে সাশ্রয়ী নীতি অবলম্বন এবং প্রকল্প ব্যয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, গত আড়াই বছর ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে চাপে ফেলেছে।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে জোর

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জানান, আসন্ন বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। যদিও কী পরিবর্তন আসবে, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে আয়বর্ধন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়।

রাজস্ব আহরণ ও সংস্কার কার্যক্রম

অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বাজেটে কর কাঠামো সংস্কার করা জরুরি। পরোক্ষ করের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। কারণ, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তিন বছরের মধ্যে দেশের সক্ষমতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।

সরকার ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, যাতে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকে টেকসই করা যায়। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকেও বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আগামী বাজেটে অর্থনৈতিক সংস্কার ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলোকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫২০ বার পড়া হয়েছে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রক্রিয়া শুরু: মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান লক্ষ্য, অগ্রাধিকার পাবে ৪ বিষয়

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের মূল লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এই চারটি বিষয়কে বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার আট লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি কমাতে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি

সরকার আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এজন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ে সাশ্রয়ী নীতি অবলম্বন এবং প্রকল্প ব্যয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, গত আড়াই বছর ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে চাপে ফেলেছে।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে জোর

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জানান, আসন্ন বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। যদিও কী পরিবর্তন আসবে, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে আয়বর্ধন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়।

রাজস্ব আহরণ ও সংস্কার কার্যক্রম

অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বাজেটে কর কাঠামো সংস্কার করা জরুরি। পরোক্ষ করের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। কারণ, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তিন বছরের মধ্যে দেশের সক্ষমতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।

সরকার ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, যাতে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকে টেকসই করা যায়। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকেও বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আগামী বাজেটে অর্থনৈতিক সংস্কার ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলোকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।