গাজায় যুদ্ধাপরাধে সহায়তার অভিযোগ: বাইডেন-ব্লিঙ্কেনের বিরুদ্ধে আইসিসি তদন্তের দাবি

- আপডেট সময় ০৮:২২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 32
গাজায় চলমান সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ডেমোক্রেসি ফর দ্য অ্যারাব ওয়ার্ল্ড নাও’ (DAWN)। তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (ICC) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে, ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যাচাই করার জন্য।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭২ পৃষ্ঠার বিশদ আবেদনটি গত মাসে দাখিল করা হলেও তা ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে আসে। এতে দাবি করা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন।
DAWN-এর আবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ট্যাংক, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর চালানো হামলায় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার মাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে এসব অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
সংগঠনটি মনে করে, এই সহায়তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে এই বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার দাবি জানিয়েছে তারা।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলার ঘটনা নিয়মিতই সংবাদ শিরোনামে আসছে।
এদিকে, ওয়াশিংটন এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে মার্কিন প্রশাসন বরাবরই বলে আসছে, তারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে এবং মানবাধিকার রক্ষার বিষয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ক্রমাগত দাবি জানাচ্ছে, গাজায় সংঘটিত অপরাধগুলোর যথাযথ তদন্ত এবং দায়ীদের আন্তর্জাতিক আদালতের আওতায় আনার জন্য। এবার সেই দাবির অংশ হিসেবেই DAWN-এর এই উদ্যোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই আবেদনের ভিত্তিতে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে কি না।