ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাইবার হামলায় কেঁপে উঠলো যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাখাত, ৬ কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য চুরি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পথে ইসরাইল? যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করল যুক্তরাজ্য নির্বাচন পেছানোর সুপরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১ ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস: এনবিআর অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ শনাক্ত! চীনের বিপ্লবাত্মক লেজার ক্যামেরার সাফল্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বকে চমকে দিয়ে চীন এক অভিনব লেজার ক্যামেরার প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, যা মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি প্রচলিত স্পাই স্যাটেলাইটের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী, যা নজরদারি প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

কেমন কাজ করে এই লেজার ক্যামেরা?

চীনের গবেষকরা উন্নত লেজার প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ডাটা প্রসেসিং ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি করেছেন এই ক্যামেরা। এটি ১০৩ ওয়াটের শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তু স্ক্যান করতে পারে। বিশেষ ৪×৪ মাইক্রো-লেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়ানো হয়েছে, যা একে আরও নিখুঁত ও কার্যকর করে তুলেছে।

নজরদারির নতুন মাইলফলক

এই ক্যামেরাটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে মাত্র ১.৭ মিলিমিটার আকারের ক্ষুদ্রতম বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তুলনামূলকভাবে, মার্কিন লকহিড মার্টিনের স্পাই ক্যামেরাগুলো ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে মাত্র ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বিশদ দেখতে পারে। অর্থাৎ চীনের নতুন লেজার ক্যামেরা মার্কিন প্রযুক্তির চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী।

সামরিক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে বিপ্লব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই লেজার ক্যামেরা সামরিক গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এটি শত্রু উপগ্রহ, সামরিক ঘাঁটি বা নির্দিষ্ট স্থল লক্ষ্যবস্তুকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি প্রচলিত স্পাই ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় অন্তত ১০০ গুণ উন্নত। অনেকেই মনে করছেন, চীনের এই সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিযোগিতার মাত্রা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বিশ্বে নজরদারির প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে যেতে পারে, তা দেখার জন্য এখন সবাই তাকিয়ে আছে চীনের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ শনাক্ত! চীনের বিপ্লবাত্মক লেজার ক্যামেরার সাফল্য

আপডেট সময় ০৩:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বকে চমকে দিয়ে চীন এক অভিনব লেজার ক্যামেরার প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, যা মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি প্রচলিত স্পাই স্যাটেলাইটের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী, যা নজরদারি প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

কেমন কাজ করে এই লেজার ক্যামেরা?

চীনের গবেষকরা উন্নত লেজার প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ডাটা প্রসেসিং ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি করেছেন এই ক্যামেরা। এটি ১০৩ ওয়াটের শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তু স্ক্যান করতে পারে। বিশেষ ৪×৪ মাইক্রো-লেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়ানো হয়েছে, যা একে আরও নিখুঁত ও কার্যকর করে তুলেছে।

নজরদারির নতুন মাইলফলক

এই ক্যামেরাটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে মাত্র ১.৭ মিলিমিটার আকারের ক্ষুদ্রতম বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তুলনামূলকভাবে, মার্কিন লকহিড মার্টিনের স্পাই ক্যামেরাগুলো ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে মাত্র ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বিশদ দেখতে পারে। অর্থাৎ চীনের নতুন লেজার ক্যামেরা মার্কিন প্রযুক্তির চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী।

সামরিক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে বিপ্লব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই লেজার ক্যামেরা সামরিক গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এটি শত্রু উপগ্রহ, সামরিক ঘাঁটি বা নির্দিষ্ট স্থল লক্ষ্যবস্তুকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি প্রচলিত স্পাই ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় অন্তত ১০০ গুণ উন্নত। অনেকেই মনে করছেন, চীনের এই সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিযোগিতার মাত্রা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বিশ্বে নজরদারির প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে যেতে পারে, তা দেখার জন্য এখন সবাই তাকিয়ে আছে চীনের দিকে।