কুয়েটে সংঘর্ষ
কুয়েটে সংঘর্ষের প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। আজ সকালে ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে তারা যাত্রা শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে তারা নিরাপদ বোধ করছেন না এবং এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, “কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হামলার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে বহিরাগতরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে, অথচ আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের।”
এদিন, শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘সন্ত্রাসীরা বাইরে কেন?’ এবং ‘মাসুদ হটাও, কুয়েট বাঁচাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনে যোগ দেন। তাদের চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছিল, যা তাদের প্রতিবাদকে আরও তীব্র করেছে।
এর আগে, গত শনিবার হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলও করেন। শুক্রবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
বুধবার, কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের দাবি না মেটানো পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে না।